ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার কোটচাঁদপুরের ধোপাবিলা সেচ্ছায় লকডাউন

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আনন্দবাগ গ্রামের পর সেচ্ছায় লগডাউন হয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর গ্রাম। এবার লগডাউন করা হলো একই উপজেলার ধোপাবিলা গ্রাম। ওই গ্রামের ধোপাবিলা ক্রিড়াসংঘের ১০০ জন সদস্যের উদ্যোগে রোববার সকাল থেকেই বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

প্রয়োজন নিশ্চিত করে গ্রাম থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে প্রবেশের সময় সমস্ত শরীরে জীবানুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া বিতরণ করা হচ্ছে সাবান, জীবানুনাশক ও মাস্ক। লকডাউন সমন্বয়কারী সাগর আহম্মেদ ও মিলন মেম্বর জানান, গ্রামের ১০০ জন সেবচ্ছাসেবক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা গ্রামের মোড়ে মোড়ে দাড়িয়ে কাজ করছেন। বসানো হয়েছে টহল। পুরো গ্রামটিকে নজদারিতে রাখা হয়েছে। গ্রামের মোড়ের রাস্তায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবানুনাশক স্প্রে নিয়ে বসে থাকছে ধোপাবিলা ক্রিড়াসংঘের সদস্যরা। নতুন কেও গ্রামে আসলে তাদেরকে গোটা শরীরে স্প্রে করা হচ্ছে। লকডাউন করার বিষয়টি কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তারা জানান।

কমিটির সদস্য সম্রাট শাহজাহান, আমিনুদ্দিন সুমন, ইয়াদুল ও আনার গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, ধোপাবিলা গ্রামে জনসংখ্যা আছে প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। সবাইকে বাড়িতে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। লকডাউন করায় গ্রামের গরীব মানুষদের চাল, ডাল, তেলসহ আনুষাঙ্গিক দেওয়ারও চেষ্টা চলছে। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামটি সুরক্ষিত থাকবে বলে অনেকে মনে করেন।

কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পুর্ন নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমেকার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে। ধোপাবিলা গ্রামবাসীর এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:০২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০
৩০১ Time View

এবার কোটচাঁদপুরের ধোপাবিলা সেচ্ছায় লকডাউন

আপডেট সময় : ০৭:০২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আনন্দবাগ গ্রামের পর সেচ্ছায় লগডাউন হয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর গ্রাম। এবার লগডাউন করা হলো একই উপজেলার ধোপাবিলা গ্রাম। ওই গ্রামের ধোপাবিলা ক্রিড়াসংঘের ১০০ জন সদস্যের উদ্যোগে রোববার সকাল থেকেই বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

প্রয়োজন নিশ্চিত করে গ্রাম থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে প্রবেশের সময় সমস্ত শরীরে জীবানুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া বিতরণ করা হচ্ছে সাবান, জীবানুনাশক ও মাস্ক। লকডাউন সমন্বয়কারী সাগর আহম্মেদ ও মিলন মেম্বর জানান, গ্রামের ১০০ জন সেবচ্ছাসেবক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা গ্রামের মোড়ে মোড়ে দাড়িয়ে কাজ করছেন। বসানো হয়েছে টহল। পুরো গ্রামটিকে নজদারিতে রাখা হয়েছে। গ্রামের মোড়ের রাস্তায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবানুনাশক স্প্রে নিয়ে বসে থাকছে ধোপাবিলা ক্রিড়াসংঘের সদস্যরা। নতুন কেও গ্রামে আসলে তাদেরকে গোটা শরীরে স্প্রে করা হচ্ছে। লকডাউন করার বিষয়টি কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তারা জানান।

কমিটির সদস্য সম্রাট শাহজাহান, আমিনুদ্দিন সুমন, ইয়াদুল ও আনার গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, ধোপাবিলা গ্রামে জনসংখ্যা আছে প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। সবাইকে বাড়িতে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। লকডাউন করায় গ্রামের গরীব মানুষদের চাল, ডাল, তেলসহ আনুষাঙ্গিক দেওয়ারও চেষ্টা চলছে। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামটি সুরক্ষিত থাকবে বলে অনেকে মনে করেন।

কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পুর্ন নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমেকার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে। ধোপাবিলা গ্রামবাসীর এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে।