ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার সাংবাদিকদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:২৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
  • ২৫৪ বার পড়া হয়েছে।

পশ্চিম জেরুজালেমে সংবাদ সংগ্রহের সময় একজন সাংবাদিককে বাধা দিচ্ছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী।

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর অন্তত ১৩ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এছাড়া ইহুদি বাহিন সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর দিয়েছে।

গত ২৮ মে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ‘রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডার’ জানিয়েছে, ইসরাইল শাসিত কারাগারে বিনা বিচারে ১৩ জন সাংবাদিককে আটক রাখা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করা বহু ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে পূর্ব জেরুজালেমের ছোট্ট বসতি শেখ জারাহতে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ইসরাইলি পুলিশ বলছে, ওই এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে ইসরাইল সরকারি প্রেস অফিসের (জিপিও) কার্ড লাগবে। কিন্তু আল খাতিব নামে ফিলিস্তিনের একজন সাংবাদিক বলেন, ইসরাইল সরকারের প্রেস কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাকে সংবাদ সংগ্রহ করতে দেয়া হয়নি। ফিলিস্তিনি এই সাংবাদিকের ভাষ্য, এখানে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা খুবই খুবই কঠিন এবং ভয়াবহ। তার পরিবার সব সময় তার ভাগ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে গত সোমবার শেষ প্রহরে ফিলিস্তিনি দুই সাংবাদিক জেইনা হালাওয়ানি এবং এবং ক্যামেরাম্যান ওয়াব মিক্কিহকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইলের বাহিনী। গত সপ্তাহে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সাংবাদিকরা নিজ বাড়ি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের খবর সংগ্রহ করছিলেন। পাঁচদিন কারাগারে থাকার পর জেরুজালেমের কেন্দ্রীয় আদালত ৪ হাজার শেকেল (ইসরাইলি মুদ্রা) মুচলেকা এবং গৃহবন্দী থাকার শর্তে জামিন দিয়েছে।

রাজাই আল খাতিব নামে জর্ডান ও ইতালিয়ান টেলিভিশনে কাজ করা এক সাংবাদিক বলেন, ইসরাইলের পুলিশ সাংবাদিকদের স্বেচ্ছাচারমূলক হেনস্তা করছে। তাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নেগেটিভ কাভারেজের জন্য সাংবাদিকদের ওপর তারা প্রতিশোধ নিচ্ছেন।

গত মাসে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন গত ১৫ মে একটি উঁচু মিডিয়া ভবন গুড়িয়ে দেয় ইসরাইলি বাহিনী। ওই ভবনে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা, যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ অন্য কয়েকটি মিডিয়ার অফিস ছিল।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
জনপ্রিয়

এবার সাংবাদিকদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী!

Update Time : ০৮:২৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর অন্তত ১৩ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এছাড়া ইহুদি বাহিন সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর দিয়েছে।

গত ২৮ মে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ‘রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডার’ জানিয়েছে, ইসরাইল শাসিত কারাগারে বিনা বিচারে ১৩ জন সাংবাদিককে আটক রাখা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করা বহু ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে পূর্ব জেরুজালেমের ছোট্ট বসতি শেখ জারাহতে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ইসরাইলি পুলিশ বলছে, ওই এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে ইসরাইল সরকারি প্রেস অফিসের (জিপিও) কার্ড লাগবে। কিন্তু আল খাতিব নামে ফিলিস্তিনের একজন সাংবাদিক বলেন, ইসরাইল সরকারের প্রেস কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাকে সংবাদ সংগ্রহ করতে দেয়া হয়নি। ফিলিস্তিনি এই সাংবাদিকের ভাষ্য, এখানে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা খুবই খুবই কঠিন এবং ভয়াবহ। তার পরিবার সব সময় তার ভাগ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে গত সোমবার শেষ প্রহরে ফিলিস্তিনি দুই সাংবাদিক জেইনা হালাওয়ানি এবং এবং ক্যামেরাম্যান ওয়াব মিক্কিহকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইলের বাহিনী। গত সপ্তাহে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সাংবাদিকরা নিজ বাড়ি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের খবর সংগ্রহ করছিলেন। পাঁচদিন কারাগারে থাকার পর জেরুজালেমের কেন্দ্রীয় আদালত ৪ হাজার শেকেল (ইসরাইলি মুদ্রা) মুচলেকা এবং গৃহবন্দী থাকার শর্তে জামিন দিয়েছে।

রাজাই আল খাতিব নামে জর্ডান ও ইতালিয়ান টেলিভিশনে কাজ করা এক সাংবাদিক বলেন, ইসরাইলের পুলিশ সাংবাদিকদের স্বেচ্ছাচারমূলক হেনস্তা করছে। তাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নেগেটিভ কাভারেজের জন্য সাংবাদিকদের ওপর তারা প্রতিশোধ নিচ্ছেন।

গত মাসে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীন গত ১৫ মে একটি উঁচু মিডিয়া ভবন গুড়িয়ে দেয় ইসরাইলি বাহিনী। ওই ভবনে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা, যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ অন্য কয়েকটি মিডিয়ার অফিস ছিল।

সবুজদেশ/এসইউ