এমফিলে ভর্তিতে জিএস রাব্বানীর অনিয়মের তদন্ত হবে
ঢাকাঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর এমফিলে (মাস্টার অব ফিলোসফি) ভর্তিতে অনিয়মের তদন্ত হবে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঢাবি উপাচার্যের কাছে আবেদন করবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।
অনুষদের সভা শেষে বুধবার বিকালে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয় বলে জানিয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সভায় অনুষদের অধিকাংশ বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক উপস্থিত ছিলেন। সভায় গোলাম রাব্বানীর এমফিলে ভর্তির বিষয়টি অ্যাজেন্ডাভুক্ত ছিল না। তবে বিবিধ আলোচনার সময় শিক্ষকরা এই বিষয় আলোচনায় নিয়ে আসেন।
সাদেকা হালিম আরও জানান, আলোচনায় শিক্ষকেরা বলেছেন, রাব্বানী যে প্রক্রিয়ায় ভর্তি হয়েছেন, তা নিয়মবহির্ভূত। তারা পুরো ঘটনার তদন্ত চান। সেই অনুযায়ী বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য উপাচার্যের কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।
জানা গেছে, ডাকসু সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর এমফিল ভর্তিতে অনিয়ম করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের এমফিলের ছাত্র হিসেবে তিনি ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে তার স্নাতকোত্তর শেষ হয়। এরপর এমফিলে ভর্তি হয়ে তিনি গত ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদনের পর বিভাগের একাডেমিক কমিটি, অনুষদ সভা, বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজের সভার সুপারিশের পর একাডেমিক পরিষদের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু গোলাম রাব্বানীকে এমফিলে ভর্তির ক্ষেত্রে অনুষদ সভার সুপারিশ ছিল না। এমনকি বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ ও একাডেমিক পরিষদের নিয়মিত যে অ্যাজেন্ডা, সেখানেও তার নাম পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান গোলাম রাব্বানী।