ওয়ার্কার্স পার্টি সব জেলায় ভেঙেছে এ কথা ঠিক নয়: বাদশা
যশোরঃ
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেছেন, আমরা ৫৮টি জেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করেছি। পার্টির কয়েকজন নেতা বেরিয়ে গেছেন। পার্টির কোন ভাঙ্গন হয়নি। শুধুমাত্র যশোরের কিছু অংশে প্রভাব পড়েছে। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে অন্য কোথাও প্রভাব পড়েনি। সব জেলা ভেঙে গেছে, এটা ঠিক নয়। তারা কেন আমাদের দল থেকে চলে গেলেন, তার সুনির্দিষ্ট কোন ব্যাখা পাইনি। পার্টিতে দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্টের মতামতকে প্রধান্য দিতে হবে, এটাই গণতান্ত্রিক চর্চার বৈশিষ্ট্য। তারা কংগ্রেস বর্জন করলেন। তাদের মতামত যারা গ্রহণ করেছিলেন, তাদের অনেকেই কংগ্রেসে অংশ নিয়েছেন। কয়েকজন নেতা আলাদা পার্টি করেছেন। এটাকে পার্টির ভাঙ্গন বলা যাবে না। তারা নতুন করে পার্টি করেছেন। (২৬ ডিসেম্বর )
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন। আগামি ২৮ ডিসেম্বর যশোরে ওয়ার্কার্স পার্টির বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফজলে হোসেন বাদশা আরও বলেন, আমরা সারাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ করার উদ্যোগ নিয়েছে। যশোর দিয়েই প্রথম শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব বিভাগেই সমাবেশ হবে। কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত সমাবেশের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরবো। সারা পৃথিবী ব্যাপী বামপন্থী রাজনীতি চড়াই উৎরাই যাচ্ছে। রাজনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বাজার ব্যবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। সরকার বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে টিসিবি করা হয়েছিল। সেই টিসিবিকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে। ফলে বাজারের ভারসাম্য রক্ষায় টিসিবি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, অ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি অ্যাড. আবু বকর সিদ্দিক, সদস্য অনুপ কুমার পিন্টু, যুবমৈত্রী নেতা সুকান্ত দাস প্রমুখ।