কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর এবার আইনি বৈধতা পাচ্ছে
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমানের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি এবার আইনি বৈধতা পাচ্ছে। এ জন্য ‘কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
এর আগে গত বছরের এপ্রিল মাসে দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমানের স্বীকৃতি দেয় সরকার। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, গত বছরের ১৩ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সে অনুযায়ী সনদপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা প্রস্তাবিত আইনানুযায়ী হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী বিদ্যমান ছয়টি কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের সমন্বয়ে একটি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থাকবে। ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ নামের কমিটিই এই বোর্ড হিসেবে কাজ করবে। এর কার্যালয় হবে ঢাকায়। কমিটির চেয়ারম্যান হবেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি। এ কমিটি সনদবিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বলে বিবেচিত হবে। এই কমিটির নিবন্ধিত মাদ্রাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিসের সনদ মাস্টার্সের সমমান বলে বিবেচিত হবে। দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষাও হবে এই কমিটির অধীনে। দাওরায়ে হাদিসের সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষাপদ্ধতি, পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল, সনদ তৈরিসহ আনুষঙ্গিক সব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক উপকমিটি গঠন করতে পারবে ওই কমিটি। এসব বিষয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে ওই কমিটি।
প্রস্তাবিত আইনানুযায়ী, এ কমিটি দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবে।
মন্ত্রিসভা ‘বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮’-এর খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।