ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে ছবি কে তুলে দিয়েছে বলতে নারাজ ভাবনা

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বেড়াতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত থেকে নিজের বেশ কিছু ছবি তিনি প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। উৎসুক ভক্ত ও অনুসারীদের অনেকের জানার আগ্রহ, ভাবনার ছবিগুলো কে তুলে দিয়েছে? এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ভাবনা।

নতুন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছেন তারাকারা। অনেক দিন ঘরবন্দী থাকার পর কেউ কেউ যাচ্ছেন বেড়াতে, কেউ কেউ শুরু করেছেন শুটিং। সম্প্রতি ভাবনা গিয়েছিলেন তাঁর প্রিয় সৈকত–শহর কক্সবাজারে। সেখানে চার দিন কাটিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। কেমন কেটেছে তাঁর? ভাবনা জানালেন, দীর্ঘদিন পর তিনি কোথাও বেড়াতে গেলেন। নাটক-টেলিছবির শুটিংয়ের ক্লান্তি দূর করতে বছরে অন্তত দুইবার তিনি কক্সবাজারে যান। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এ বছর সেখানে যাওয়া হলো বেশ দেরিতে। তিনি বলেন, ‘ঘুরে বেড়াতে আমি খুব পছন্দ করি। শুটিংয়ের ফাঁকে দুই দিনের জন্য হলেও কোথাও না কোথাও চলে যাই। আর কক্সবাজার আমার খুব পছন্দের শহর। সেখানে আমি খুব এনজয় করি।’

কক্সবাজারে ভাবনার দেখা হয় বহু ভ্রমণপিয়াসী মানুষের সঙ্গে। মানুষের চাপে একবার হোটেল পর্যন্ত বদলাতে হয়েছে তাঁকে। তিনি জানান, সেখানকার সেলফি–শিকারীদের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে মনে হয়েছে, সবকিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সেখানকার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে ভাবনা বলেন, ‘দারুণ আবহাওয়া ছিল, প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির ভেতর সমুদ্রসৈকতে দৌড়ে বেরিয়েছি, সেখানকার ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলেছি। এত আনন্দ অনেক দিন পর হলো।’ কী কী কিনেছেন, জানতে চাইলে ভাবনা বলেন, ‘মা কয়েকবার ফোন করে শুঁটকি মাছ নিতে বলেছিলেন। আমরা বাড়ির সবাই শুঁটকি খেতে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এবার কেনাকাটা করতে যেতে সাহস হয়নি। কক্সবাজারে গেলে আমি মায়ের জন্য শুঁটকি আর বাবার জন্য গুঁড়ি গুঁড়ি চেকের লুঙ্গি অবশ্যই কিনি। এবার সেটা হয়নি।’

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভাবনা। তিনি জানান, সারিবদ্ধভাবে মানুষকে বিমানবন্দরে নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের নির্দেশ বা স্বাস্থ্যবিধি কিছুই মানতে দেখেননি তিনি। আর ঠিক উল্টো চিত্র ছিল কক্সবাজার বিমানবন্দরে। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে এ রকম বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে তোলা যে ছবিগুলো ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন, সেগুলোর ক্রেডিট দেননি কেন, এমন প্রশ্নে হাসতে হাসতে ভাবনা বলেন, ‘ফটোক্রেডিট সিক্রেট।’

করোনাকালের লকডাউনে বেশ কিছু ছবি এঁকেছেন ভাবনা। শুরুতে মেকআপের সরঞ্জাম দিয়ে আঁকা তাঁর ছবিগুলো ভীষণ প্রশংসা কুড়ায়। সেসবের একটি ছবি কিনে নিয়েছেন নায়িকা বর্ষা। এ ছাড়া এ করোনাকালেই বেশ কয়েকটি নাটক, টেলিছবি ও স্বল্পদৈর্ঘ্যে অভিনয় করেছেন আশনা হাবিব ভাবনা। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ভাবনা অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মুখ আসমান’।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
৩৩৪ Time View

কক্সবাজারে ছবি কে তুলে দিয়েছে বলতে নারাজ ভাবনা

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বেড়াতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত থেকে নিজের বেশ কিছু ছবি তিনি প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। উৎসুক ভক্ত ও অনুসারীদের অনেকের জানার আগ্রহ, ভাবনার ছবিগুলো কে তুলে দিয়েছে? এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ভাবনা।

নতুন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছেন তারাকারা। অনেক দিন ঘরবন্দী থাকার পর কেউ কেউ যাচ্ছেন বেড়াতে, কেউ কেউ শুরু করেছেন শুটিং। সম্প্রতি ভাবনা গিয়েছিলেন তাঁর প্রিয় সৈকত–শহর কক্সবাজারে। সেখানে চার দিন কাটিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। কেমন কেটেছে তাঁর? ভাবনা জানালেন, দীর্ঘদিন পর তিনি কোথাও বেড়াতে গেলেন। নাটক-টেলিছবির শুটিংয়ের ক্লান্তি দূর করতে বছরে অন্তত দুইবার তিনি কক্সবাজারে যান। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এ বছর সেখানে যাওয়া হলো বেশ দেরিতে। তিনি বলেন, ‘ঘুরে বেড়াতে আমি খুব পছন্দ করি। শুটিংয়ের ফাঁকে দুই দিনের জন্য হলেও কোথাও না কোথাও চলে যাই। আর কক্সবাজার আমার খুব পছন্দের শহর। সেখানে আমি খুব এনজয় করি।’

কক্সবাজারে ভাবনার দেখা হয় বহু ভ্রমণপিয়াসী মানুষের সঙ্গে। মানুষের চাপে একবার হোটেল পর্যন্ত বদলাতে হয়েছে তাঁকে। তিনি জানান, সেখানকার সেলফি–শিকারীদের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে মনে হয়েছে, সবকিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সেখানকার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে ভাবনা বলেন, ‘দারুণ আবহাওয়া ছিল, প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির ভেতর সমুদ্রসৈকতে দৌড়ে বেরিয়েছি, সেখানকার ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলেছি। এত আনন্দ অনেক দিন পর হলো।’ কী কী কিনেছেন, জানতে চাইলে ভাবনা বলেন, ‘মা কয়েকবার ফোন করে শুঁটকি মাছ নিতে বলেছিলেন। আমরা বাড়ির সবাই শুঁটকি খেতে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এবার কেনাকাটা করতে যেতে সাহস হয়নি। কক্সবাজারে গেলে আমি মায়ের জন্য শুঁটকি আর বাবার জন্য গুঁড়ি গুঁড়ি চেকের লুঙ্গি অবশ্যই কিনি। এবার সেটা হয়নি।’

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভাবনা। তিনি জানান, সারিবদ্ধভাবে মানুষকে বিমানবন্দরে নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের নির্দেশ বা স্বাস্থ্যবিধি কিছুই মানতে দেখেননি তিনি। আর ঠিক উল্টো চিত্র ছিল কক্সবাজার বিমানবন্দরে। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে এ রকম বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে তোলা যে ছবিগুলো ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন, সেগুলোর ক্রেডিট দেননি কেন, এমন প্রশ্নে হাসতে হাসতে ভাবনা বলেন, ‘ফটোক্রেডিট সিক্রেট।’

করোনাকালের লকডাউনে বেশ কিছু ছবি এঁকেছেন ভাবনা। শুরুতে মেকআপের সরঞ্জাম দিয়ে আঁকা তাঁর ছবিগুলো ভীষণ প্রশংসা কুড়ায়। সেসবের একটি ছবি কিনে নিয়েছেন নায়িকা বর্ষা। এ ছাড়া এ করোনাকালেই বেশ কয়েকটি নাটক, টেলিছবি ও স্বল্পদৈর্ঘ্যে অভিনয় করেছেন আশনা হাবিব ভাবনা। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ভাবনা অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মুখ আসমান’।