ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে সাগরে ডুবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

Reporter Name

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে আজ শনিবার সকালে গোসলে নেমে সাইদুর রহমান (২২) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, সাইদুর রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ফেনী সদর এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে সাইদুরসহ তিন বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে এসে হোটেল কল্লোলে ওঠেন। আজ শনিবার ভোরে তিন বন্ধু সমুদ্রে গোসলে নামলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত বিচ-কর্মীদের ইনচার্জ মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাতটার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসল করতে নামেন সাইদুর রহমান। ৩ নম্বর সতর্কসংকেত থাকায় সাগর উত্তাল ছিল। তখন সাগরে জোয়ার ছিল। এ সময় বিশাল ঢেউয়ের ধাক্কায় সাইদুর গভীর সাগরের দিকে ভেসে যেতে থাকেন। অন্য পর্যটকদের হইচই শুনে লাইফগার্ডের কর্মীরা সমুদ্রের তলদেশ থেকে সাইদুরকে উদ্ধার করেন। ততক্ষণে লোনা পানি খেয়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সকাল নয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, অতিরিক্ত পানি খেয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ১ আগস্ট রাতে সিগাল হোটেল পয়েন্টে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে রাফসান ফয়সাল নামের ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্ট বাংলাদেশের (ইউল্যাব) আরেক ছাত্র নিখোঁজ হন। ১৮ দিনেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। এ ঘটনায় তাঁর দুই সহপাঠীকে পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে।

২ আগস্ট একই সৈকতে ভেসে যান সোলিমান মুলাটা নামের জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। তিনি ইথিওপিয়ার নাগরিক। তিন দিন পর তাঁর লাশ মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে জেলেদের জালে আটকা পড়েছিল।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বৈরী পরিবেশে উত্তাল সাগরে জোয়ার-ভাটার হিসাব না মেনে লোকজন সাগরে নেমে বিপদে পড়ছে। যেসব সৈকতে গোসলে নামা ঝুঁকিপূর্ণ অথবা নিষিদ্ধ, সেখানে লাল নিশানা ওড়ানো হচ্ছে। জোয়ারের সময় ঝুঁকি নেই—এমন সৈকতে সবুজ নিশানা ওড়ানো থাকে। সবুজ পতাকা দেখলে নিরাপদে গোসল করা যায়। সেখানে লাইফগার্ড, ডুবুরিসহ ট্যুরিস্ট পুলিশ তৎপর থাকে।

About Author Information
আপডেট সময় : ১২:৫৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৮
৫৪৯ Time View

কক্সবাজারে সাগরে ডুবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১২:৫৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৮

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে আজ শনিবার সকালে গোসলে নেমে সাইদুর রহমান (২২) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, সাইদুর রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ফেনী সদর এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে সাইদুরসহ তিন বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে এসে হোটেল কল্লোলে ওঠেন। আজ শনিবার ভোরে তিন বন্ধু সমুদ্রে গোসলে নামলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত বিচ-কর্মীদের ইনচার্জ মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাতটার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসল করতে নামেন সাইদুর রহমান। ৩ নম্বর সতর্কসংকেত থাকায় সাগর উত্তাল ছিল। তখন সাগরে জোয়ার ছিল। এ সময় বিশাল ঢেউয়ের ধাক্কায় সাইদুর গভীর সাগরের দিকে ভেসে যেতে থাকেন। অন্য পর্যটকদের হইচই শুনে লাইফগার্ডের কর্মীরা সমুদ্রের তলদেশ থেকে সাইদুরকে উদ্ধার করেন। ততক্ষণে লোনা পানি খেয়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সকাল নয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, অতিরিক্ত পানি খেয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ১ আগস্ট রাতে সিগাল হোটেল পয়েন্টে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে রাফসান ফয়সাল নামের ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্ট বাংলাদেশের (ইউল্যাব) আরেক ছাত্র নিখোঁজ হন। ১৮ দিনেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। এ ঘটনায় তাঁর দুই সহপাঠীকে পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে।

২ আগস্ট একই সৈকতে ভেসে যান সোলিমান মুলাটা নামের জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। তিনি ইথিওপিয়ার নাগরিক। তিন দিন পর তাঁর লাশ মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে জেলেদের জালে আটকা পড়েছিল।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বৈরী পরিবেশে উত্তাল সাগরে জোয়ার-ভাটার হিসাব না মেনে লোকজন সাগরে নেমে বিপদে পড়ছে। যেসব সৈকতে গোসলে নামা ঝুঁকিপূর্ণ অথবা নিষিদ্ধ, সেখানে লাল নিশানা ওড়ানো হচ্ছে। জোয়ারের সময় ঝুঁকি নেই—এমন সৈকতে সবুজ নিশানা ওড়ানো থাকে। সবুজ পতাকা দেখলে নিরাপদে গোসল করা যায়। সেখানে লাইফগার্ড, ডুবুরিসহ ট্যুরিস্ট পুলিশ তৎপর থাকে।