করোনার টিকা আমদানিতে ৪২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ
ঢাকাঃ
করোনাভাইরাসের টিকা আমদানিতে ৪ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিল সরকার। এ ছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কিনতে আরও ১ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ–সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে থেকে ভার্চ্যুয়াল একনেক সভায় অংশ নেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোভিড–১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড পেন্ডামিক প্রিপেয়ার্ডনেস (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় করোনার টিকা ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা হবে। তিনি বলেন, গত জুনে প্রকল্পটি যখন প্রথম অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তখন টিকা আমদানির বিষয়টি ছিল না। এই প্রকল্পে নতুন করে টিকা আমদানির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে।
টিকা পাওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘টিকা আমদানির বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী টিকা পাওয়া যাবে। আমরা বিশ্বাস করি, টিকা পাব।’ একনেক বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নানও সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রক্রিয়া যা-ই হোক, আমরা টিকা পাব।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি জুনে প্রথম অনুমোদনের সময় ব্যয় ছিল ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। সেটি বেড়ে ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) ঋণ দিচ্ছে ৬ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। বাকি ১৭২ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে জোগান দেওয়া হবে। ২০২৩ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অনুমোদিত প্রকল্পে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় ৪৩টি জেলা সদর হাসপাতালে ২০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হবে। ১০টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ শয্যাবিশিষ্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) স্থাপন করা হবে। ২৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর মেশিন বসানো হবে।
কারা পাবেন টিকা:
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বলেন, টিকা পাওয়ার অগ্রাধিকারে আছেন সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মী, বন্দরের কর্মী, ব্যাংকের কর্মী এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মী।
তিনি বলেন, এই তালিকায় আরও রয়েছেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য, শ্রমঘন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, শ্রমঘন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, এতিমখানা, পরিবহনশ্রমিক বিদেশগামী ও বিদেশফেরত সব ব্যক্তি।