ঢাকাঃ

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী এ টিকা নেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালেই টিকা নিয়েছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা নেন শেখ রেহানা।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

করোনা মহামারিতে যখন সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত, তখন এর প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্যাকসিন তৈরি করতে নেমে পড়ে। সফলও হয়েছে কয়েকটি। এরমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে কোভ্যাক্স, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং জনসনের টিকা অন্যতম।

এরমধ্যেই যাদের ভ্যাকসিন আগে আসবে- সেই ভ্যাকসিনটাই যেন দ্রুত বাংলাদেশ পায়, সেজন্য সরকার অগ্রিম টাকা দিয়ে চুক্তি করে রাখে।যার পরিপ্রেক্ষিতে ৩ কোটি ডোজ করোনার টিকার জন্য গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর কথা। দেশে টিকার প্রথম চালান আসে গত ২৫ জানুয়ারি। 

এর আগে উপহার হিসাবে বাংলাদেশে পাঠানো ভারত সরকারের ২০ লাখ টিকা পৌঁছায় গত ২১ জানুয়ারি। এ টিকা পাওয়ার পর সরকার ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম টিকা প্রয়োগ শুরু করে। ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় গণটিকাদান কার্যক্রম। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলছে।বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) পর্যন্ত দেশে মোট টিকা নিয়েছেন ৩৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯ জন এবং নারী ১২ লাখ ৮৭ হাজার ১০০ জন।

এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে টিকার দ্বিতীয় চালান ঢাকায় আসে। এই চালানে ২০ লাখ ডোজ আসে। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে বলা হয়েছে। সারা দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি একযোগে টিকা দেওয়া শুরু হয়। সেই হিসাবে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here