ঢাকা ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার নতুন ধরনে ব্যাপকহারে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
  • ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে।

ফাইল ফটো

সবুজদেশ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাকাল গোটা বিশ্ব। আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট তথা ধরনকে। খুবই সংক্রামক এসব ধরনে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও।

চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য ও শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট মেডস্কেপ-এর এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। খবর ডক্টর টিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমের পাবলিক হেলথ কর্মকর্তারা শিশুদের ব্যাপকহারে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছেন।

করোনাভাইরাসের নতুন নতুন অত্যন্ত সংক্রামক ধরনগুলোর ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে এই সংখ্যা বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিনিয়াপোলিসের ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা’র সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি’র পরিচালক ড. মাইকেল ওস্টারহোম বলেন, ‘ পেশাগত জীবনের ৪৬ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি শুধু আপনাকে বলতে পারি- শিশুদের মাঝে, বিশেষ করে ছোট্ট শিশুদের মাঝে যে সংক্রমণ এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, এমন ব্যাপকতর সংক্রমণ আমি কখনো দেখিনি।’

করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে শিশুরা, বিশেষ করে ছোট্ট শিশুরা সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে কমই ভূমিকা রাখে। যখন তারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হতো, তাদের উপসর্গ ছিল মৃদু অথবা উপসর্গ থাকতো না। এসব কারণে বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা যেত না, বাসাবাড়ি কিংবা নির্দিষ্ট এলাকায় তারা সাধারণত প্রথমে সংক্রমিত হতো না।’

এখন আরো সার্স-কোভ-২ ভ্যারিয়েন্ট তথা ধরন দাপট দেখাতে শুরু করেছে। বয়স্করা টিকা নেওয়ার মাধ্যমে সুরক্ষা নিচ্ছেন। তবে এ ধরন হয়তো বদলে যেতে শুরু করেছে। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ করছেন, কোভিড-১৯ অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার ধরনে ছড়াতে শুরু করে কিনা, যেখানে শিশুরা প্রথমে আক্রান্ত হয় এবং বাসায় তাদের বাবা-মায়ের কাছে রোগটা নিয়ে যায়।

মিশিগানে অনেক স্কুল খুলেছে এবং তরুণদের খেলাধুলাও শুরু হয়েছে, ঠিক যখন করোনাভাইরাসের আরো সংক্রামক বি.১.১.৭ ধরনটি ব্যাপকহারে ছাড়াচ্ছে। সেখানে সব বয়সী মানুষের মধ্যেই সংক্রমণ বাড়ছে। তবে নতুন করে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে ১০-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর এই প্রথম এমনটা ঘটলো।

মিশিগান ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেসের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে এই অঙ্গরাজ্যে এই বয়সীদের মাঝে সংক্রমণের ঘটনা দ্বিগুণের বেশি। নয় বছর বয়সী শিশুদের মতো ছোট শিশুদের মাঝে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা ২৩০ শতাংশ বেড়েছে।

সম্প্রতি মিনেসোটায় অঙ্গরাজ্যের মহামারীবিদ রুথ লিনফিল্ড সাংবাদিকদের বলেন, অঙ্গরাজ্যে দ্রতগতিতে বাড়তে থাকা করোনার বি.১.১.৭ ভ্যারিয়েন্ট শিশুদের বেশি সংক্রমিত করেছে। যেটা এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় ছিল না। সংস্পর্শে আসলে শিশুরা আরো বেশি সংক্রমিত হবে বলেই বোঝা যাচ্ছে।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে বি.১.১.৭ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয় ইসরায়েলে। জানুয়ারিতে এটা ছড়িয়ে পড়ে। জানুয়ারির শেষ নাগাদ জেরুজালেমের হাদাসাহ এইন কেরেম মেডিকেল সেন্টারে নতুন করে খোলা পেডিয়াট্রিক কোভিড আইসিইউ-তে চারজন রোগী আসে। তাদের বয়স ছিল ১৩ দিন থেকে ২ বছর।

Tag :

করোনার নতুন ধরনে ব্যাপকহারে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

Update Time : ০৪:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাকাল গোটা বিশ্ব। আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট তথা ধরনকে। খুবই সংক্রামক এসব ধরনে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও।

চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য ও শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট মেডস্কেপ-এর এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। খবর ডক্টর টিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমের পাবলিক হেলথ কর্মকর্তারা শিশুদের ব্যাপকহারে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছেন।

করোনাভাইরাসের নতুন নতুন অত্যন্ত সংক্রামক ধরনগুলোর ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে এই সংখ্যা বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিনিয়াপোলিসের ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা’র সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি’র পরিচালক ড. মাইকেল ওস্টারহোম বলেন, ‘ পেশাগত জীবনের ৪৬ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি শুধু আপনাকে বলতে পারি- শিশুদের মাঝে, বিশেষ করে ছোট্ট শিশুদের মাঝে যে সংক্রমণ এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, এমন ব্যাপকতর সংক্রমণ আমি কখনো দেখিনি।’

করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে শিশুরা, বিশেষ করে ছোট্ট শিশুরা সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে কমই ভূমিকা রাখে। যখন তারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হতো, তাদের উপসর্গ ছিল মৃদু অথবা উপসর্গ থাকতো না। এসব কারণে বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা যেত না, বাসাবাড়ি কিংবা নির্দিষ্ট এলাকায় তারা সাধারণত প্রথমে সংক্রমিত হতো না।’

এখন আরো সার্স-কোভ-২ ভ্যারিয়েন্ট তথা ধরন দাপট দেখাতে শুরু করেছে। বয়স্করা টিকা নেওয়ার মাধ্যমে সুরক্ষা নিচ্ছেন। তবে এ ধরন হয়তো বদলে যেতে শুরু করেছে। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ করছেন, কোভিড-১৯ অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার ধরনে ছড়াতে শুরু করে কিনা, যেখানে শিশুরা প্রথমে আক্রান্ত হয় এবং বাসায় তাদের বাবা-মায়ের কাছে রোগটা নিয়ে যায়।

মিশিগানে অনেক স্কুল খুলেছে এবং তরুণদের খেলাধুলাও শুরু হয়েছে, ঠিক যখন করোনাভাইরাসের আরো সংক্রামক বি.১.১.৭ ধরনটি ব্যাপকহারে ছাড়াচ্ছে। সেখানে সব বয়সী মানুষের মধ্যেই সংক্রমণ বাড়ছে। তবে নতুন করে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে ১০-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর এই প্রথম এমনটা ঘটলো।

মিশিগান ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেসের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে এই অঙ্গরাজ্যে এই বয়সীদের মাঝে সংক্রমণের ঘটনা দ্বিগুণের বেশি। নয় বছর বয়সী শিশুদের মতো ছোট শিশুদের মাঝে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা ২৩০ শতাংশ বেড়েছে।

সম্প্রতি মিনেসোটায় অঙ্গরাজ্যের মহামারীবিদ রুথ লিনফিল্ড সাংবাদিকদের বলেন, অঙ্গরাজ্যে দ্রতগতিতে বাড়তে থাকা করোনার বি.১.১.৭ ভ্যারিয়েন্ট শিশুদের বেশি সংক্রমিত করেছে। যেটা এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় ছিল না। সংস্পর্শে আসলে শিশুরা আরো বেশি সংক্রমিত হবে বলেই বোঝা যাচ্ছে।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে বি.১.১.৭ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয় ইসরায়েলে। জানুয়ারিতে এটা ছড়িয়ে পড়ে। জানুয়ারির শেষ নাগাদ জেরুজালেমের হাদাসাহ এইন কেরেম মেডিকেল সেন্টারে নতুন করে খোলা পেডিয়াট্রিক কোভিড আইসিইউ-তে চারজন রোগী আসে। তাদের বয়স ছিল ১৩ দিন থেকে ২ বছর।