করোনার মধ্যে কোলে তুলে আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিলেন তিনি
শাহরিয়ার আলম সোহাগঃ
বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত এই ভাইরাসে। জন সমাগম এড়াতে অনেক দেশই লকডাউন করেছে। বাংলাদেশেও কোন প্রকার যানবাহন চলবে না। এমনকি দোকান-পাটও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর একটাই কারণ জন সমাগম কমানো। করোনা ভাইরাস অতিমাত্রার ছোঁয়াছে রোগ। এসব ভাইরাসকে এক প্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের এক অফিসার।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয় ৬ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন সবাইকে। ঘটনাটি বুধবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কলাহাটার মোড়ে ঘটে।
দুর্ঘটনায় আহত উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে মিল্টন হোসেনকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে নামিয়ে কোলে তুলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিচ্ছেন কালীগঞ্জ ফায়ার ও ডিফেন্স সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ। এমনই দৃশ্য দেখা গেল বুধবার বিকেলে।
গত দুই বছর হলো চাকরির বয়স। কালীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে যোগদান করেছেন এক বছর। তিনি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিদাসকাঠি গ্রামের শেখ মাহবুবুল আলমের ছেলে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিক ওসমান গনি জুয়েল বলেন, কালীগঞ্জ ফায়ার ও ডিফেন্স সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ একজন অসাধারণ মানুষ। এই উপজেলায় আগুন বা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে তিনি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ করেন। দেশের সকল উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের এমন অফিসার থাকার দরকার। তিনি এই উপজেলার জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ। তিনি তার মেধা ও কাজ দিয়ে খুব অল্প দিনেই এলাকার মানুষের সুনাম কুড়িয়েছেন।
কালীগঞ্জ ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা হচ্ছে মানুষের সেবক। আহত ওই ছেলেটার অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। তার হেঁটে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। মানুষের সেবা করতে গিয়ে করোনা নিয়ে ভাবলে আমাদের হবে না। এজন্য তাকে আমি কোলে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পিপিই নেই। তারপরও হতাহতদের জন্য আমাদের কাজ করতে হয়। আমরা মানুষের সেবা না করলে কে করবে।