করোনায় থামিয়ে দিয়েছে বিদ্যুতের প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন
যশোর প্রতিনিধিঃ
করোনার প্রভাবে চলমান কাজের ২০ ভাগের বেশি অগ্রগতি নিয়ে থমকে গেল যশোরে বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের কাজ। এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) যশোরের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ ও ২-এর আওতায় জেলার প্রায় ৮৬ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে। করোনাভাইরাসের প্রভাব উপেক্ষা করে বাগেরহাট, সাতক্ষীরা প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও চীন থেকে সরঞ্জাম আনতে না পারায় যশোরে কাজ বন্ধ আছে বলে জানিয়েছেন ওজোপাডিকো যশোরের তত্ত্বাবধায়ক শাহিদুল আলম।
ওজোপাডিকো সূত্র মতে, ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) আওতায় খুলনা-বরিশাল বিভাগের ২২টি জেলায় ৪ শ’ ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ লক্ষ মিটার বসানো হবে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে এই প্রকল্পে নিয়োজিত চায়না এক্সপার্টদের নিয়ে স্মার্ট মিটার স্থাপনে যশোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ ও ২ কাজ করছে। ইতোমধ্যে যশোর পৌরসভা ও যশোর ওজোপাডিকো ২টি বিভাগের অফিসগুলোতে এই মিটার বসানো হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ-চীনের আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট যশোর প্রকল্পের সরঞ্জাম আসেনি। যার কারণে যশোরে মিটার বসানো বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, দেশে শর্টসার্কিটজনিত দুর্ঘটনা রোধে এবং গ্রাহকের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিরাপদ করতে ওজোপাডিকো স্মার্ট মিটার সুবিধা চালু করেছে। সেই লক্ষে যশোরে ওজোপাডিকোর দুই ইউনিটে ৮৬ হাজার ৩৩২ জন গ্রাহককে এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছিলো। এই মিটারিং পদ্ধতিতে ভেন্ডিং স্টেশন (সেবাকেন্দ্র) এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিল পরিশোধ সহজ। এই মিটারের ব্যালান্স শেষ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে মিটার হতে ১০০ টাকা অগ্রিম ব্যালান্স নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। এতে বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এছাড়া গ্রাহক নিট বিদ্যুৎ বিলের ওপর ১ শতাংশ হারে ভর্তুকিও পাবেন।
যশোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের দাম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৬শ’ টাকা। তবে রিপ্লেসমেন্টের জন্য গ্রাহককে কোনও টাকা দিতে হবে না। তবে, নতুন মিটারের ক্ষেত্রে বাকিতে মিটার সরবরাহ করা হবে। মিটারের মূল্য গ্রাহকরা মাসিক ৪০ টাকা হারে পরিশোধ করতে পারবেন।
ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) যশোরের তত্ত্বাবধায়ক শাহিদুল আলম বলেন, যশোরে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার বসানো প্রকল্প জানুয়ারি থেকে শুরু হলেও বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের কারণে আপাতত কার্যক্রম থমকে গেছে। এই প্রকল্পের খুলনা বিভাগের বাগেরহাট, সাতক্ষীরা কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরই যশোরে কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে মিটার সামগ্রী আপাতত আনতে না পারায় কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। কাজের অগ্রগতির মধ্যেই কাজ বন্ধ করে দেয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসে কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হলেও প্রকল্প যথাসময়ে শেষ হওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।