ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনায় দেশের অবস্থা খুব খারাপ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • ৪০৪ বার পড়া হয়েছে।

সবুজদেশ ডেস্কঃ

করোনায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, করোনায় দেশের অবস্থা খুব খারাপ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল শুনানিকালে এমন মন্তব্য করেন।

শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল হাইকোর্ট বিভাগের অধিকসংখ্যক বেঞ্চ খুলে দেয়ার দাবি তোলেন। তখন প্রধান বিচারপতি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন,‘আপনি খবর রাখেন? দেশের অবস্থা খুব খারাপ। জবাবে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন,‘মাই লর্ড সেটা তো জানি। আমি অন্য একটা বিষয়ে বলতে চাই। সেটা হলো লকডাউন ঘোষণার পূর্বে দেয়া হাইকোর্টের আদেশগুলো পাঠানো/কমিউনিকেট করার ব্যবস্থা করুন।

অন্যটি হলো সুপ্রিম কোর্টের করোনা টেস্টের বুথটি খোলা রেখে আইনজীবীদের টেস্টের সুযোগ করে দিন। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন,‘আমি তো বাইরের লোক আসতে দিতে চাই না। এ সময় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, করোনা টেস্ট তো হচ্ছে। বেঞ্চের আরেক বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন,‘বারের মেম্বাররা (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) কি আসেন? প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আচ্ছা আমরা এটা বুঝে বলব, এটা করলে অনেক লোক চলে আসবে। আইনজীবীরা তো অ্যাফেক্টেড হচ্ছে।

এরপর প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেন আইনজীবীদের জন্য আলাদা একটা বুথের ব্যবস্থা করতে পারেন কি-না? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ওখানে পারা যাবে না। পরে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের করোনা টেস্ট বুথে আইনজীবীদের আইডি কার্ড দেখে করোনা টেস্টে সম্মতি জানান।

Tag :

করোনায় দেশের অবস্থা খুব খারাপ

Update Time : ০৭:২১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

করোনায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, করোনায় দেশের অবস্থা খুব খারাপ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল শুনানিকালে এমন মন্তব্য করেন।

শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল হাইকোর্ট বিভাগের অধিকসংখ্যক বেঞ্চ খুলে দেয়ার দাবি তোলেন। তখন প্রধান বিচারপতি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন,‘আপনি খবর রাখেন? দেশের অবস্থা খুব খারাপ। জবাবে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন,‘মাই লর্ড সেটা তো জানি। আমি অন্য একটা বিষয়ে বলতে চাই। সেটা হলো লকডাউন ঘোষণার পূর্বে দেয়া হাইকোর্টের আদেশগুলো পাঠানো/কমিউনিকেট করার ব্যবস্থা করুন।

অন্যটি হলো সুপ্রিম কোর্টের করোনা টেস্টের বুথটি খোলা রেখে আইনজীবীদের টেস্টের সুযোগ করে দিন। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন,‘আমি তো বাইরের লোক আসতে দিতে চাই না। এ সময় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, করোনা টেস্ট তো হচ্ছে। বেঞ্চের আরেক বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন,‘বারের মেম্বাররা (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) কি আসেন? প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আচ্ছা আমরা এটা বুঝে বলব, এটা করলে অনেক লোক চলে আসবে। আইনজীবীরা তো অ্যাফেক্টেড হচ্ছে।

এরপর প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেন আইনজীবীদের জন্য আলাদা একটা বুথের ব্যবস্থা করতে পারেন কি-না? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ওখানে পারা যাবে না। পরে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের করোনা টেস্ট বুথে আইনজীবীদের আইডি কার্ড দেখে করোনা টেস্টে সম্মতি জানান।