ঢাকাঃ

দেশে ক্রমশঃ দীর্ঘ হচ্ছে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের তালিকা। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন আরও ৩৩ জন। ফলে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৪৭১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৯৯৬ জনের মধ্যে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩।

করোনাভাইরাস বিষয়ে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৩১৭টি এবং পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৮২০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৮টি। ২৪ ঘণ্টায় যা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাতে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৯৯৬ জনের মধ্যে। ফলে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৩ জন এবং এ পর্যন্ত ‍মৃত্যুবরণ করেছেন তিন হাজার ৪৭১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৩৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ৯৭২ জন।

গতকালের তথ্য
গতকাল সোমবারের (১০ আগস্ট) বুলেটিনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১২ হাজার ৮৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৯০ জন। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।

শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
মঙ্গলবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

বৈশ্বিক সর্বশেষ
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। এতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি দুই লাখ ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা সাত লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৩২ লাখ প্রায়। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here