ঢাকা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনায় মৃত মালিকের মরদেহের পাশে পোষা গাভী!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১
  • ২৯৬ বার পড়া হয়েছে।

বাগেরহাটঃ

মোংলায় করোনায় মারা যাওয়া মালিকের লাশের পাশে এসে আর্তনাদ করতে দেখা গেছে তার পালিত গাবাদি পশুকে। হৃদয় বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কালিকা বাড়ি শ্বশান ঘাটে।

গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদপাই ইউনিয়নের বিনোদ মেম্বারের একমাত্র ছেলে বিল্পব মন্ডল করোনা পযেটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্তায় খুলনার একটি হাসপাতালে মারা গেলে তার লাশ সৎকারের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশানে নিয়ে আসলে তার পোষা গাভিটি ছুটে এসে লাশের উপর চুম্বন করতে থাকে এবং ডাকাডাকি শুরু করে।

মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও শেখ রাসেল অক্সিজেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামরুজ্জামান জসিম বলেন সকালে বিপ্লবের লাশটি সৎকারের জন্য আমাকে পিপির জন্য ফোন দিলে আমি সেখানে গিয়ে উপস্থিত হই এবং কিছুক্ষন পরে এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্যটি দেখতে পাই। মূহুর্তের ভিতর আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ি। যেখানে করোনায় মারা যাওয়া মানুষের লাশের পাশে তার আপন জনেরা যেতে চায়না সেখানে অবলা এই প্রাণির মালিকের প্রতি ভালোবাসার আর্তনাদ সত্যিই অকল্পনীয়।

সৎকারের কাজে আসা বিশ্বজিৎ জানান বিল্পব ছোট বেলা থেকেই পশু প্রেমি এবং গরুটিকে খু্ব যত্ন নিতেন।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :

গোপালগঞ্জে নাহিদদের ওপর হামলার নির্দেশদাতা ‘ডেভিল রানী’ হাসিনা: সোহেল তাজ

করোনায় মৃত মালিকের মরদেহের পাশে পোষা গাভী!

Update Time : ০৭:৩৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১

বাগেরহাটঃ

মোংলায় করোনায় মারা যাওয়া মালিকের লাশের পাশে এসে আর্তনাদ করতে দেখা গেছে তার পালিত গাবাদি পশুকে। হৃদয় বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কালিকা বাড়ি শ্বশান ঘাটে।

গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদপাই ইউনিয়নের বিনোদ মেম্বারের একমাত্র ছেলে বিল্পব মন্ডল করোনা পযেটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্তায় খুলনার একটি হাসপাতালে মারা গেলে তার লাশ সৎকারের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশানে নিয়ে আসলে তার পোষা গাভিটি ছুটে এসে লাশের উপর চুম্বন করতে থাকে এবং ডাকাডাকি শুরু করে।

মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও শেখ রাসেল অক্সিজেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামরুজ্জামান জসিম বলেন সকালে বিপ্লবের লাশটি সৎকারের জন্য আমাকে পিপির জন্য ফোন দিলে আমি সেখানে গিয়ে উপস্থিত হই এবং কিছুক্ষন পরে এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্যটি দেখতে পাই। মূহুর্তের ভিতর আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ি। যেখানে করোনায় মারা যাওয়া মানুষের লাশের পাশে তার আপন জনেরা যেতে চায়না সেখানে অবলা এই প্রাণির মালিকের প্রতি ভালোবাসার আর্তনাদ সত্যিই অকল্পনীয়।

সৎকারের কাজে আসা বিশ্বজিৎ জানান বিল্পব ছোট বেলা থেকেই পশু প্রেমি এবং গরুটিকে খু্ব যত্ন নিতেন।

সবুজদেশ/এসইউ