করোনার মধ্যে ছুটে চলা ইউএনও নাফিস সুলতানার গল্প
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনার প্রভাবে যখন মানুষ ঘরবন্দী, অনেকেই কাজ না থাকার কারনে বেকার হয়ে পড়েছেন। আর তখন থেকেই ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার এ ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে ছুটে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা। যখন ত্রান বন্টন করা নিয়ে নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে সেখানে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে নজির স্থাপন করে চলেছেন তিনি।
এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজে সবার সহযোগিতায় নিয়ে তালিকা তৈরী করে খেটে খাওয়া দিনমুজুর আর শ্রমজীবি মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি নিজেই রাত- দিন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ত্রান পৌছে দেওয়ার কারনে মানুষের কাছে মানবতার প্রতিক হয়ে গেছেন। তার কারনে কেও না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে না। হট লাইনে ফোন দিলেই তিনি ঘরে পৌছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী।
কিন্তু প্রচারে বিমুখ এই নির্বাহী কর্মকর্তার গল্প শোনালেন তাহেরহুদা ইউনিয়নের বাসিন্দা করিমন নেসা ও রাজ্জাক হোসেন। বৃহস্পতিবার বিকালেও তাহেরহুদা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় শত শত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় তিনি অসহায় পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্যও তুলে দেন । পরে তিনি রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং করেন। এসময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ত্রান বিতরণের বিষয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা বলে পরিচিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, তিনি উপজেলার মানুষের পাশে থাকার জন্য কাজ করে চলেছেন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বাজার বসানো থেকে শুরু করে অসহায় শ্রমজীবি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রান পৌছে দিচ্ছেন। প্রতিনিয়ত জনপ্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ রেখে মনিটরিং করে চলেছেন। পৌরসভা ও প্রতিটা ইউনিয়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরনে সুষ্ঠভাবে বিতরন হচ্ছে।
ইউএনও আরও বলেন, জনগণের সেবক হতে চাই না। সব সময় মানুষের পাশে থাকবো। তিনি মনে করেন, যার যার দায়িত্ব সেটি পালন করে গেলে কোন অভাব থাকবে না। এ যুদ্ধে অসহায় মানুষের পাশে থাকার বিকল্প নেই। তাই মানবতা আর চেতনায় জায়গা থেকে ত্রান সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি। আর মানুষের সেবা করার কথা তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।