ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে ডিসির ফোন: দুশ্চিন্তা নেই, পাশে আছি

Reporter Name

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরায় এই প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি যশোর জেলার শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে দায়িত্বরত। সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার একটি ভাড়াবাসায় থেকে অফিসে যাতায়াত করতেন। তার বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে।শনিবার সন্দেহজনকভাবে তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এরপর তিনি কর্মস্থল থেকে সাতক্ষীরা শহরে ফেরেন।

রোববার সকালে পরীক্ষার ফলাফলে তার শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে।দুপুর ২টায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা.হুসাইন সাফায়াতের নেতৃত্বে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন একটি মেডিকেল টিম।

সিভিল সার্জন ডা.হুসাইন সাফায়াত জানান, শারীরিক পরীক্ষার পর ওই ব্যক্তির শরীরে কোন উপসর্গ না থাকায় তাকে হোম আইসোলেশন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিয়মিতভাবে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, পৌরসভার উত্তর কাটিয়া ১ নং ওয়ার্ডের রোকেয়া নার্সের বাসার দোতলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান করছেন আক্রান্ত ওই ব্যক্তি। তার বাড়িসহ আশে পাশের কয়েকটা বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।এদিকে, স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা আক্রান্তের খবর শুনে তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে সাহস জোগান সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তা নেই পাশে আছি। 

জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন,  তিনি করোনা আক্রান্ত যশোরের শার্শা উপজেলা হাসপাতালে চাকরি করেন এবং সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। গতকাল যশোরে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে সাতক্ষীরা চলে আসেন। আজ (রোববার) সকালে তার করোনা পজিটিভ হয়েছে যা স্বাস্থ্য বিভাগ আমাকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আক্রান্তের সঙ্গে কথা বলেছি।  সে যেন মানসিকভাবে চাঙা থাকে। দুশ্চিন্তা না করে বা নিজেকে দোষারোপ না করে সে পরামর্শ দিয়েছি। বলেছি, দুশ্চিন্তা নেই তোমার পাশে আছি। ইতোমধ্যে ঐ বাড়িসহ তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়েছে।

সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করেছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে। এছাড়া জেলাবাসীকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে না আসতে আবারো অনুরোধ করেন তিনি।

অন্যদিকে, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, যারা জেলার বাইরে সরকারি বা বেসরকারি চাকুরি করেন। তারা তাদের কর্মস্থলে থেকে দায়িত্বপালন করবেন। তাদের যাতায়াত পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করা হলো। নির্দেশনা উপেক্ষা করলে চেকপোস্ট ও পুলিশী টহলে পড়লে আটক করা হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:১৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
৩৪৭ Time View

করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে ডিসির ফোন: দুশ্চিন্তা নেই, পাশে আছি

আপডেট সময় : ০৯:১৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরায় এই প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি যশোর জেলার শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে দায়িত্বরত। সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার একটি ভাড়াবাসায় থেকে অফিসে যাতায়াত করতেন। তার বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে।শনিবার সন্দেহজনকভাবে তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এরপর তিনি কর্মস্থল থেকে সাতক্ষীরা শহরে ফেরেন।

রোববার সকালে পরীক্ষার ফলাফলে তার শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে।দুপুর ২টায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা.হুসাইন সাফায়াতের নেতৃত্বে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন একটি মেডিকেল টিম।

সিভিল সার্জন ডা.হুসাইন সাফায়াত জানান, শারীরিক পরীক্ষার পর ওই ব্যক্তির শরীরে কোন উপসর্গ না থাকায় তাকে হোম আইসোলেশন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিয়মিতভাবে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, পৌরসভার উত্তর কাটিয়া ১ নং ওয়ার্ডের রোকেয়া নার্সের বাসার দোতলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান করছেন আক্রান্ত ওই ব্যক্তি। তার বাড়িসহ আশে পাশের কয়েকটা বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।এদিকে, স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা আক্রান্তের খবর শুনে তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে সাহস জোগান সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তা নেই পাশে আছি। 

জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন,  তিনি করোনা আক্রান্ত যশোরের শার্শা উপজেলা হাসপাতালে চাকরি করেন এবং সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। গতকাল যশোরে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে সাতক্ষীরা চলে আসেন। আজ (রোববার) সকালে তার করোনা পজিটিভ হয়েছে যা স্বাস্থ্য বিভাগ আমাকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আক্রান্তের সঙ্গে কথা বলেছি।  সে যেন মানসিকভাবে চাঙা থাকে। দুশ্চিন্তা না করে বা নিজেকে দোষারোপ না করে সে পরামর্শ দিয়েছি। বলেছি, দুশ্চিন্তা নেই তোমার পাশে আছি। ইতোমধ্যে ঐ বাড়িসহ তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়েছে।

সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করেছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে। এছাড়া জেলাবাসীকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে না আসতে আবারো অনুরোধ করেন তিনি।

অন্যদিকে, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, যারা জেলার বাইরে সরকারি বা বেসরকারি চাকুরি করেন। তারা তাদের কর্মস্থলে থেকে দায়িত্বপালন করবেন। তাদের যাতায়াত পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করা হলো। নির্দেশনা উপেক্ষা করলে চেকপোস্ট ও পুলিশী টহলে পড়লে আটক করা হবে।