ঢাকা ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা আতংকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি: পেয়াঁজ ২৫ টাকা, চাল ৮ টাকা বৃদ্ধি

Reporter Name

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

করোনা আতংকে এক রাতের মধ্যে বাগেরহাট জেলায় কেজিতে ২৫ টাকা বেড়ে পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর সরু চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৮ টাকায়। শুধু পেয়াঁজ ও চাল নয়। প্রতিটা নিত্যপন্যের দাম হুহু করে বেড়ে গেছে। বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও এক রাতের ব্যবধানে এসব খাদ্যপন্যের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার পিছনে অতি মুনাফালোভী আড়তদার, খুচরা দোকানী, চাহিদার কয়েকগুন অধিক পন্য ক্রয় করা ক্রেতা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করাকে দায়ী করছে স্থানীয়রা।

শুক্রবার বিকালে বাগেরহাট জেলা সদর ও সাপ্তহিক বাজার খানজাহান আলী মাজারের খাদ্যপন্যের আড়ৎ ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখাগেছে, ক্রেতারা চাল, পেয়াঁজসহ খাদ্যপন্য কিনতে দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। তারা মাসিক চাহিদার কয়েকগুন চাল, পেয়াঁজসহ খাদ্যপন্য কিনে ফিরছে। বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও অধিক মূল্যের বিষয়টি আমলে না নিয়ে ক্রেতারা তাদের চাহিদা মতো পন্য কিনে বাড়ী ফিরছেন।

প্রতি কেজি ১৬ টাকার আলু ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ১শ টাকা, লবন, তেল, চিড়া, মুড়ি, বিস্কুটসহ সকল নিত্যপন্যের দাম বেড়েছে।

করোনাভাইরাসের কারনে খাদ্য পন্যেও দাম আরো বেড়ে যেতে পারে? এমনকি করোনার কারনে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মতো বাগেরহাটও লকডাউন হয়ে যেতে পারে এই আতংকে শুক্রবার সকাল থেকে সাধারন মানুষ খাদ্যপন্য কিনতে দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও হটাৎ করেই আড়াতদারা খাদ্যপন্যের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন খোদ বাগেরহাট চেম্বর অব কমার্সের সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন লিটন।

তিনি বলেন, অতি মুনাফারোভী আড়তদার, খুচরা দোকানী, আতংকিত ক্রেতারা তাদের চাহিদার দশগুনেরও অধিক ক্রয় করায় বাগেরহাটে খাদ্যপন্যের অস্বভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করাকে দায়ী করে এই ব্যবসায়ি নেতা। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অসৎ ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলেই বাগেরহাটের খাদ্যপন্যের মূল্য স্বভাবিক রাখা সম্ভব হবে তিনি মনে করেন।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে করোনা ভাইরাসের অজুহাতে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে পেঁয়াজ অতিরিক্ত দামে বিক্রির করার অপরাধে বাগেরহাট শহরের দুই পাইকাড়ী পেয়াঁজ ব্যবসায়ী আ. ছত্তারকে ৪০ হাজার টাকা ও মো. কামরুল হোসেনকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

এবিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ থাকার পরও এক শ্রেনীর মানুষ নিত্যপন্যের দাম বেড়ে যাওয়ার ভয়ে চাহিদার কয়েকগুন বাজার করছে। বাজার দর নিয়ন্ত্রনে জেলায় একাধিক মোবাইল টিম কাজ করছে। আতঙ্কিত না হতে তিনি সবাইকে অনুরোধ জানান।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০
৩৬৬ Time View

করোনা আতংকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি: পেয়াঁজ ২৫ টাকা, চাল ৮ টাকা বৃদ্ধি

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

করোনা আতংকে এক রাতের মধ্যে বাগেরহাট জেলায় কেজিতে ২৫ টাকা বেড়ে পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর সরু চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৮ টাকায়। শুধু পেয়াঁজ ও চাল নয়। প্রতিটা নিত্যপন্যের দাম হুহু করে বেড়ে গেছে। বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও এক রাতের ব্যবধানে এসব খাদ্যপন্যের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার পিছনে অতি মুনাফালোভী আড়তদার, খুচরা দোকানী, চাহিদার কয়েকগুন অধিক পন্য ক্রয় করা ক্রেতা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করাকে দায়ী করছে স্থানীয়রা।

শুক্রবার বিকালে বাগেরহাট জেলা সদর ও সাপ্তহিক বাজার খানজাহান আলী মাজারের খাদ্যপন্যের আড়ৎ ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখাগেছে, ক্রেতারা চাল, পেয়াঁজসহ খাদ্যপন্য কিনতে দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। তারা মাসিক চাহিদার কয়েকগুন চাল, পেয়াঁজসহ খাদ্যপন্য কিনে ফিরছে। বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও অধিক মূল্যের বিষয়টি আমলে না নিয়ে ক্রেতারা তাদের চাহিদা মতো পন্য কিনে বাড়ী ফিরছেন।

প্রতি কেজি ১৬ টাকার আলু ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ১শ টাকা, লবন, তেল, চিড়া, মুড়ি, বিস্কুটসহ সকল নিত্যপন্যের দাম বেড়েছে।

করোনাভাইরাসের কারনে খাদ্য পন্যেও দাম আরো বেড়ে যেতে পারে? এমনকি করোনার কারনে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মতো বাগেরহাটও লকডাউন হয়ে যেতে পারে এই আতংকে শুক্রবার সকাল থেকে সাধারন মানুষ খাদ্যপন্য কিনতে দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও হটাৎ করেই আড়াতদারা খাদ্যপন্যের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন খোদ বাগেরহাট চেম্বর অব কমার্সের সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন লিটন।

তিনি বলেন, অতি মুনাফারোভী আড়তদার, খুচরা দোকানী, আতংকিত ক্রেতারা তাদের চাহিদার দশগুনেরও অধিক ক্রয় করায় বাগেরহাটে খাদ্যপন্যের অস্বভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করাকে দায়ী করে এই ব্যবসায়ি নেতা। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অসৎ ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলেই বাগেরহাটের খাদ্যপন্যের মূল্য স্বভাবিক রাখা সম্ভব হবে তিনি মনে করেন।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে করোনা ভাইরাসের অজুহাতে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে পেঁয়াজ অতিরিক্ত দামে বিক্রির করার অপরাধে বাগেরহাট শহরের দুই পাইকাড়ী পেয়াঁজ ব্যবসায়ী আ. ছত্তারকে ৪০ হাজার টাকা ও মো. কামরুল হোসেনকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।

এবিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ থাকার পরও এক শ্রেনীর মানুষ নিত্যপন্যের দাম বেড়ে যাওয়ার ভয়ে চাহিদার কয়েকগুন বাজার করছে। বাজার দর নিয়ন্ত্রনে জেলায় একাধিক মোবাইল টিম কাজ করছে। আতঙ্কিত না হতে তিনি সবাইকে অনুরোধ জানান।