ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা আতঙ্কে কালীগঞ্জ হাসপাতালে কমছে রোগী

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাছাড়া রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ডাক্তার বা নার্সদের পিপিই সরবরাহ করা হয়নি। হাসপাতালে কর্মরত একাধিক নার্সের সাথে কথা বলে এমনই জানা গেছে।

করোনা ভাইরাস আসার পূর্বে স্বাভাবিক সময়ে হাসপাতালে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কমপক্ষে ৩০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতেন। এখন সেটি কমে ১০০ নিচে দাঁড়িয়েছে। 

রোববার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ড ঘুরে মাত্র ২৫ জন  রোগী পাওয়া গেছে। কেবলমাত্র গাইনী ও শিশু ওয়ার্ডে কয়েকজন রোগী রয়েছে। 

মহিলা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত একজন নার্স জানান, আমার ৫ বছরের চাকরির বয়সে হাসপাতাল এভাবে রোগীশূন্য হতে দেখিনি, সবাই আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে  চলে গেছেন। তাছাড়াও পিপিই কম থাকায় আমরাও ভয় পাচ্ছি। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুনভাবে কোন রোগী ভর্তি করছে না।  রোগীদের জন্য আরটিআই কর্ণার তৈরী করা হয়েছে ।  

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামিমা শিরিন লুবনা বলেন, করোনা আতঙ্কে রোগীরাই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যদিও চিকিৎসক বা নার্সদের জন্য যে পিপিই এসেছে, তা পর্যাপ্ত নয় । 

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:০৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মার্চ ২০২০
৬৩৮ Time View

করোনা আতঙ্কে কালীগঞ্জ হাসপাতালে কমছে রোগী

আপডেট সময় : ০৮:০৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মার্চ ২০২০

ঝিনাইদহঃ

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাছাড়া রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ডাক্তার বা নার্সদের পিপিই সরবরাহ করা হয়নি। হাসপাতালে কর্মরত একাধিক নার্সের সাথে কথা বলে এমনই জানা গেছে।

করোনা ভাইরাস আসার পূর্বে স্বাভাবিক সময়ে হাসপাতালে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কমপক্ষে ৩০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতেন। এখন সেটি কমে ১০০ নিচে দাঁড়িয়েছে। 

রোববার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ড ঘুরে মাত্র ২৫ জন  রোগী পাওয়া গেছে। কেবলমাত্র গাইনী ও শিশু ওয়ার্ডে কয়েকজন রোগী রয়েছে। 

মহিলা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত একজন নার্স জানান, আমার ৫ বছরের চাকরির বয়সে হাসপাতাল এভাবে রোগীশূন্য হতে দেখিনি, সবাই আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে  চলে গেছেন। তাছাড়াও পিপিই কম থাকায় আমরাও ভয় পাচ্ছি। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুনভাবে কোন রোগী ভর্তি করছে না।  রোগীদের জন্য আরটিআই কর্ণার তৈরী করা হয়েছে ।  

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামিমা শিরিন লুবনা বলেন, করোনা আতঙ্কে রোগীরাই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যদিও চিকিৎসক বা নার্সদের জন্য যে পিপিই এসেছে, তা পর্যাপ্ত নয় ।