করোনা: ঝিনাইদহের ১৫ রিপোর্ট যশোরে পজেটিভ, ঢাকায় নেগেটিভ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে পজেটিভ হওয়া ঝিনাইদহের ৭ ডাক্তার, নার্সসহ ১৫ রোগীর দ্বিতীয় দফা রিপোর্ট ঢাকার আইইডিসিআর থেকে নেগেটিভ এসেছে।
শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যবিপ্রবি থেকে পজেটিভ হওয়া ঝিনাইদহের ৩৩ করোনা রোগীর নমুনা ৩, ৭ ও ১৪ দিনের ব্যাবধানে আমরা ঢাকায় পাঠিয়েছিলাম। ঢাকা থেকে ১৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকী ১৮ জনের ফলাফলও চলে আসবে।
যবিপ্রবি’র রিপোর্ট নিয়ে কোন সন্দেহ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, বিষয়টি যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষই ভাল বলতে পারবেন।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা বিষয়ক মুখপাত্র ডাক্তার প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানায়, পজেটিভ থেকে নেগেটিভ হওয়া রোগীরে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল আক্রান্ত হওয়ার ৩দিন, ৭দিন ও ১৪ দিন পর। ডাক্তারদের অভিমত করোনা ভাইরাস তার ক্যারেক্টার পরিবর্তন করে অটোমেটিক নেগেটিভ হতে পারে।
তিনি আরো জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্ত ল্যাবে বসানের আগ পর্যন্ত ভাইরাস তার চরিত্র পরিবর্তন করতে পারে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে পজেটিভ হওয়া ঝিনাইদহের ১৫ রোগীর রিপোর্টের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে, যাদের ২য় বার নমুন রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে- জগদীশ, শুকুর আলী, তানিম, সোহেল, মাসুদ রানা, ফারুক, মেহেদী, খশরু, হালিম, আশরাফুল, মতিয়ার, বিথী, দেলোয়ার, কামনা ও আরাফাত।
এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে যবিপ্রবিতে পজেটিভ হওয়া রিপোর্ট ঢাকায় নেগেটিভ হওয়ার ঘটনায় পরীক্ষার মান নিয়ে কোন কোন মহল প্রশ্ন তুলছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে ঝিনাইদহ থেকে পাঠানো করোনার ১৪টির নমুনার ফলাফল এসেছে যবিপ্রবি থেকে। যার সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবিরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বাড়ি কবিরপুর গ্রামে।
শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের সার্বিক তত্বাবধানে ঝিনাইদহ ইসলামী ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটির সদস্যরা শহিদুলের লাশ দাফন করেন।