ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা থেকে সেরে উঠলেও যেসব ঝুঁকি থাকছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১
  • ২৭৩ বার পড়া হয়েছে।

ফাইল ফটো

ঢাকাঃ

কোভিড আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠলেও শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে দাবি করছেন একদল গবেষক। তারা বলছেন, গত ছয় মাসে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে বিষণ্নতা, স্মৃতিভ্রংশ, মনোব্যধি ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি মিলেছে। 

গবেষকদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, আগে কোভিড সংক্রমিতদের এক তৃতীয়াংশের মধ্যে মানসিক বা স্নায়ুবিক সমস্যা নতুন করে বা পুনরায় দেখা দিয়েছে। 

তবে হাসপাতালে বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে যারা ভর্তি ছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকির মাত্রা বেশি। মানসিক চাপও বৃদ্ধি এবং করোনাভাইরাস সরাসরি মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলায় এমনটি হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ লাখের বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা নথি পর্যালোচনা করে খুব বেশি দেখা যায় এমন ১৪টি মানসিক ও স্নায়ুবিক রোগে তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতোটা তা জানার চেষ্টা করেছেন।

এই ১৪টি রোগের মধ্যে আছে- মস্কিষ্কে রক্তক্ষরণ, পারকিনসন্স, গিলিয়ান-ব্যারি সিনড্রোম (এক ধরনের ফ্লু-জনিত উপসর্গ), স্মৃতিভ্রংশ, মনোব্যধি, ভাবের অসঙ্গতি, উদ্বেগ অসঙ্গতি ইত্যাদি।

কোভিডে আক্রান্তদের উদ্বেগ ও ভাবের অসঙ্গতিতে ভুগতে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। খুবই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চাপ থেকে এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা গবেষকদের।

এছাড়া করোনাভাইরাসের দৈহিক সংক্রমণের ফল বা এটার কারণে মানুষের দেহের যে শারীরিক প্রতিক্রিয়া তার ফলাফল হিসেবে স্ট্রোক ও স্মৃতিভ্রংশের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

তবে পারকিনসন্স বা গিলিয়ান-ব্যারি সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়ানোর সঙ্গে কোভিডের কোনো যোগসূত্র পাননি গবেষকরা।

Tag :

করোনা থেকে সেরে উঠলেও যেসব ঝুঁকি থাকছে

Update Time : ০৯:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

ঢাকাঃ

কোভিড আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠলেও শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে দাবি করছেন একদল গবেষক। তারা বলছেন, গত ছয় মাসে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে বিষণ্নতা, স্মৃতিভ্রংশ, মনোব্যধি ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি মিলেছে। 

গবেষকদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, আগে কোভিড সংক্রমিতদের এক তৃতীয়াংশের মধ্যে মানসিক বা স্নায়ুবিক সমস্যা নতুন করে বা পুনরায় দেখা দিয়েছে। 

তবে হাসপাতালে বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে যারা ভর্তি ছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকির মাত্রা বেশি। মানসিক চাপও বৃদ্ধি এবং করোনাভাইরাস সরাসরি মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলায় এমনটি হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ লাখের বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা নথি পর্যালোচনা করে খুব বেশি দেখা যায় এমন ১৪টি মানসিক ও স্নায়ুবিক রোগে তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতোটা তা জানার চেষ্টা করেছেন।

এই ১৪টি রোগের মধ্যে আছে- মস্কিষ্কে রক্তক্ষরণ, পারকিনসন্স, গিলিয়ান-ব্যারি সিনড্রোম (এক ধরনের ফ্লু-জনিত উপসর্গ), স্মৃতিভ্রংশ, মনোব্যধি, ভাবের অসঙ্গতি, উদ্বেগ অসঙ্গতি ইত্যাদি।

কোভিডে আক্রান্তদের উদ্বেগ ও ভাবের অসঙ্গতিতে ভুগতে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। খুবই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চাপ থেকে এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা গবেষকদের।

এছাড়া করোনাভাইরাসের দৈহিক সংক্রমণের ফল বা এটার কারণে মানুষের দেহের যে শারীরিক প্রতিক্রিয়া তার ফলাফল হিসেবে স্ট্রোক ও স্মৃতিভ্রংশের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

তবে পারকিনসন্স বা গিলিয়ান-ব্যারি সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়ানোর সঙ্গে কোভিডের কোনো যোগসূত্র পাননি গবেষকরা।