ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা পরীক্ষার অনুমতি পেল যবিপ্রবি

Reporter Name

যশোর প্রতিনিধিঃ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। হাসপাতালের বাইরে দেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম করোনাভাইরাস পরীক্ষার সরকারি অনুমতি পেল।

শনিবার (১১ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল কমিটি ল্যাবরেটরি ইনভেস্টিগেশনের সভাপতি ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অতিদ্রুত সেখানে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে। তারা পরীক্ষা করে দিবে।’

যবিপ্রবির উপাচার্য বলেন, ‘যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারে ২০১৯ সালে সংগ্রহ করা বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পিসিআর মেশিন রয়েছে। একসঙ্গে এখানে ৯৬জনের পরীক্ষা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চারজন শিক্ষক করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করবেন। তারা ছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুজন শিক্ষক এই ল্যাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদেরও প্রশিক্ষিত করে ল্যাবে যুক্ত করা হবে।’

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় শিক্ষকরা ঢাকা, ফরিদপুরসহ অন্যান্য এলাকায় অবস্থান করছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে আগামী রোববার তিনি যশোর পৌঁছাবেন। আর পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই), কীট ও রোগীর নমুনা সরবরাহ করা হলে তারা আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন। ল্যাবটি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখারও সক্ষমতা তাদের রয়েছে। প্রতিদিন ২০০ রোগীর নমুনা এখানে পরীক্ষা সম্ভব। তবে নমুনা বারে বারে না পাঠিয়ে এক বা দুইবার পাঠানো হলেই কাজ দ্রুত সম্ভব হবে।

ড. আনোয়ার আরও জানান, যবিপ্রবির ল্যাবটি এরইমধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও যশোরের সিভিল সার্জন পরিদর্শন করেছেন। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা সচিবের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সঙ্গেও এ নিয়ে তার কথা হয়েছে।

উপাচার্য জানান, তাদের ল্যাবে শুধু পরীক্ষাই নয়, তারা দেশের যেকোনো স্থানে পরীক্ষা চালুর প্রশিক্ষণ দেওয়ার সক্ষমতাও রাখেন। সরকারের সিগন্যাল পেলে মহামারির এই দুর্যোগ মোকাবিলায় তারা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০
৭৭৮ Time View

করোনা পরীক্ষার অনুমতি পেল যবিপ্রবি

আপডেট সময় : ১০:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০

যশোর প্রতিনিধিঃ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। হাসপাতালের বাইরে দেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম করোনাভাইরাস পরীক্ষার সরকারি অনুমতি পেল।

শনিবার (১১ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল কমিটি ল্যাবরেটরি ইনভেস্টিগেশনের সভাপতি ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অতিদ্রুত সেখানে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে। তারা পরীক্ষা করে দিবে।’

যবিপ্রবির উপাচার্য বলেন, ‘যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারে ২০১৯ সালে সংগ্রহ করা বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পিসিআর মেশিন রয়েছে। একসঙ্গে এখানে ৯৬জনের পরীক্ষা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চারজন শিক্ষক করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করবেন। তারা ছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুজন শিক্ষক এই ল্যাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদেরও প্রশিক্ষিত করে ল্যাবে যুক্ত করা হবে।’

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় শিক্ষকরা ঢাকা, ফরিদপুরসহ অন্যান্য এলাকায় অবস্থান করছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে আগামী রোববার তিনি যশোর পৌঁছাবেন। আর পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই), কীট ও রোগীর নমুনা সরবরাহ করা হলে তারা আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন। ল্যাবটি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখারও সক্ষমতা তাদের রয়েছে। প্রতিদিন ২০০ রোগীর নমুনা এখানে পরীক্ষা সম্ভব। তবে নমুনা বারে বারে না পাঠিয়ে এক বা দুইবার পাঠানো হলেই কাজ দ্রুত সম্ভব হবে।

ড. আনোয়ার আরও জানান, যবিপ্রবির ল্যাবটি এরইমধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও যশোরের সিভিল সার্জন পরিদর্শন করেছেন। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা সচিবের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সঙ্গেও এ নিয়ে তার কথা হয়েছে।

উপাচার্য জানান, তাদের ল্যাবে শুধু পরীক্ষাই নয়, তারা দেশের যেকোনো স্থানে পরীক্ষা চালুর প্রশিক্ষণ দেওয়ার সক্ষমতাও রাখেন। সরকারের সিগন্যাল পেলে মহামারির এই দুর্যোগ মোকাবিলায় তারা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত।