ফাইল ফটো

ঢাকাঃ

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে বাংলাদেশ স্কাউটস’র ২০ লাখ সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ স্কাউটস’র জাতীয় কমিশনার (সামাজিক উন্নয়ন ও সমন্বয়) শাহ কামাল।

শনিবার (২১ মার্চ) মুঠোফোনে এ তথ্য জানান তিনি। 

স্কাউটস’র জাতীয় কমিশনার বলেন, আমাদের সদস্যদের যে কোনো প্রয়োজনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
 
দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা ভাইরাসের প্রকোপকে দুর্যোগ অভিহিত করে সিনিয়র সচিব শাহ কামাল বলেন, আমরা আছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাপোর্ট সার্ভিস হিসেবে। ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখছি। এখনও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আমাদের ৩ হাজার ২০০, আরবান এলাকায় ৪২ হাজার ভলান্টিয়ার আছে। আমরা যেমন তাদের নিজেদের সেফটির জন্য এলার্ট করছি, একই সঙ্গে এও জানাচ্ছি, যে কোনো প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা লাগতে পারে।
 
শাহ কামাল বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিভিন্ন জায়গায় যে যৌনপল্লী আছে সেগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা তাদেরকে মানবিক খাদ্য সহায়তা হিসাবে প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছি। আর যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকছে তাদেরকেও খাদ্য সহায়তা ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করছি।
 
গত ৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৪ জন। দেশে করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ১৮ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া এরই মধ্যে কয়েকটি নির্বাচনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে লকডাউন ও জরুরি অবস্থা ঘোষণারও পরামর্শ দিয়েছে।
 
উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে মানুষের বাসায় থাকার একঘেয়েমি কাটাতে বাংলাদেশ স্কাউট ‘করোনা গেইম’ নামে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক একটি অনলাইন গেমও তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন স্কাউটসের নির্বাহী পরিচালক আশরাদুল মুকাদ্দিস।
 
তিনি বলেন, আমরা স্কাউটসের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত অনলাইন গেম তৈরি করছি, যাতে করে মানুষ বাসায় বসে মোবাইলে এটি খেলে সময় কাটাতে পারে। এটা নিছকই গেম না, এতে বিভিন্ন প্রশ্ন রেখে করোনা সম্পর্কিত সতর্কতামূলক নানান বার্তা পাওয়া যাবে। এটা সব বয়সী মানুষ খেলতে পারবে। এ ছাড়াও স্কাউট সদস্যরা অনলাইনে মানুষকে সতর্ক করতে বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে, যাতে মানুষ আতঙ্কিত না হয়, সচেতন হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট তৈরি করে স্কাউটস সদস্যরা সারাদেশে বিলি করছে বলেও জানান আশরাদুল মুকাদ্দিস। এই মুহূর্তে আর কী কী করা যায়, তা নিয়ে স্কাউট সভাপতি ও জাতীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অনলাইন মিটিং করা হচ্ছে বলেও জানান নির্বাহী পরিচালক। 
 
এদিকে বিশ্ব স্কাউট সংস্থার পরামর্শে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে স্কাউট পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার লক্ষ্যে কেবলমাত্র করোনা সচেতনতা বিষয়ক সভা বা প্রশিক্ষণ ছাড়া সব ধরনের সভা, ওয়ার্কশপ, প্রশিক্ষণ, প্রোগ্রাম ও কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিকারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here