করোনা: সরকারি নির্দেশনা মানছি তবে পেটে ভাত নেই
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
আমরা খেঁটে খাওয়া মানুষ এখন দিন চলছে না। কাজ কর্ম নেই। সরকারি নির্দেশনা মানছি তবে পেটে ভাত নেই। এখন সরকার যদি সহযোগিতা করতো তবে আমরা বেঁচে থাকতে পারতাম। এখনো কোন সহযোগিতা কিছু পায়নি। বাড়িতেও থাকা খাদ্যখাবার ফুরিয়ে গেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে এভাবেই নিজের কথাগুলো বর্ণনা করেন সাতক্ষীরা তালা সদরের মাঝিয়াড়া গ্রামের মিলন সরদার।
বাস শ্রমিক মিলন সরদার বলেন, কাজ না থাকায় আমার দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে আজ (রোববার) সকালে না খেয়ে রয়েছি। কারো কাছ থেকে চাল বা তরকারি কিছু ধার করতে পারলে চুলায় আগুন জ্বলবে। তা না হলে জ্বলবে না। আশেপাশের মানুষদেরও খুব করুণ অবস্থা।
পার্শ্ববর্তী
শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ইজ্ঞিনভ্যান চালক শহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় বের হতে পারছি না সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাড়িতে বেকার হয়ে বসে আছি। অসহায় হয়ে পড়েছি।
শিবপুর গ্রামের দিনমজুর মজিবার রহমান তিনিও রয়েছেন বেকার হয়ে। পরিবার নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
স্থানীয় মাঝিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা তালা উপজেলা আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইদ্রিস আলী বলেন, সাধারণ মানুষ অনেক সমস্যার ভিতরে। কেউ কাজে যেতে পারছে না, কাজকর্ম নেই। সন্ধ্যার আগে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সরকারি কোন সাহায্য এ অঞ্চলে কেউ পাচ্ছে না। শুনেছি, এদিক ওদিক কিছু সহযোগিতা দিচ্ছে তবে এ অঞ্চলে এখনো কিছু পৌঁছেনি। জনপ্রতিনিধিদের কোন খোঁজ নেই। জনপ্রতিনিধিদের সংকট উপলব্ধি করছি। জনপ্রতিনিধিরা যদি অসহায় মানুষদের দূর্দিনে পাশে এসে দাঁড়ায় তবে মানুষ মনে শান্তি পায় সেটুকুও নেই জনপ্রতিনিধিদের।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইকবাল হোসেন বলেন, প্রকৃত অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। যাদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী নেই বলে জানতে পারলাম দ্রুত সময়ের মধ্যেই এসব মানুষদের বাড়িতে খাবার সামগ্রী পৌঁছে যাবে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য দুস্থ অসহায় মানুষদের জেলায় সরকারিভাবে ৪০০ মেট্রিকটন চাউল ও ১২ লাখ টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দ হয়েছে। যা বিলিবন্টন কার্যক্রম চলমান। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগেও সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।