ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্মহীন মানুষের জন্য খাবার নিয়ে ঘুরছেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

করোনা মহামারি মোকাবেলায় কর্মহীন মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ঘরে থাকা ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলাতে হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম।

ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি করোনাভাইরাস রোধে জনসমাগম বন্ধসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। লকডাউনের শুরুতেই অসহায় কর্মহীন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন পুলিশ সুপার।

দেখা গেছে, জনসমাগম এড়াতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে পুলিশ সুপার ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ছুটছেন। ২৬ মার্চ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার সাথে সাথেই মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম স্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক কার্যক্রম সহ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন।

দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে করোনা ভাইরাসের কারণে অভাব অনটনে পড়া সাধারণ মানুষকে সহায়তা প্রদানের জন্য পুলিশ সুপার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঝিনাইদহে করোনাভাইরাস রোধে হত দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় তাদের করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কেও সচেতন করছেন তিনি।

গত ২৬মার্চ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একটি স্পেশাল কুইক রেসপন্স টিম গঠন ও প্রস্তুতি দিয়ে শুরু করেন করোনা মোকাবেলার কাজ। এবর্ং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ঝিনাইদহ সদর থানাধীন প্রত্যন্ত গ্রামঅঞ্চলের দিনমজুর,ভ্যান চালক,দুঃস্থ সহ বিভিন্ন শ্রেণি ও বয়সের মানুষের মাঝে মাস্ক এবং সাবান বিতরণ করা হয়।
গত ২৮মার্চ হরিণাকুন্ডুর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান এর কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি ও মাস্ক ,স্যাভলন ,সাবান বিতরণ।

গত ৩০মার্চ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গণমানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজার শত শত হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সাবান ও মাস্ক, হ্যান্ডসেনিটাইজার বিতরণ।

গত ৩১মার্চ সকালে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গঠিত ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমের (ছজঞ) সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান।এবং ঝিনাইদহ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে রিক্সা/ভ্যান চালক, দিনমজুর ও বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষের মাঝে জেলা পুলিশের উদ্যোগে চাল,ডাল,ভোজ্য তেল,আলু,সাবান ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করা হয়।

গত পহেলা এপ্রিলে পুলিশ সুপার ঝিনাইদহ মহোদ্বয়ের নির্দেশক্রমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে ঝিনাইদহ বাসির উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়।

গত ২ এপ্রিল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি সহ স্থানীয় জনসাধারনকে নিজ বাড়ীতে অবস্থানের জন্য পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম নির্দেশে আহবান জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)মোঃ আবুল বাশার, ঝিনাইদহ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ সালাহউদ্দিন সহ সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স নিয়ে প্রচার চালানো হয়।

হরিনাকুন্ডুর প্রত্যান্ত পল্লী জনপদে গভীর রাতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক সাবান এবং হ্যান্ডস্যানিটাইজার সহায়তা প্রদান করেন পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম।

কোটচাদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে-গ্রামে চাল ডাল তেল লব্ন সাবান হ্যান্ড সেনিটাইজার মাস্ক নিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাজির হন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান এবং ৫এপ্রিল পুনরায় রাতের বেলা কোটচাঁদপুর থানার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দিনমজুর,অসহায়,দুঃস্থ মানুষের নিকট জেলা পুলিশের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ দেওয়া হয়।

পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম নিজেই মাঠে নেমে গত ৬এপ্রিল ঝিনাইদহ শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট কার্যক্রম তদারকি করেন।এবং জেলা পুলিশের উদ্যোগে রাত্রেবেলা মহেশপুর থানা এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র,দুঃস্থ ,শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ।

গত ৭এপ্রিল করোনা পরিস্থিতির শিকার অসহায় মানুষের জন্য জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালীগঞ্জ থানাধীন বারোবাজার ও কাশিপুর বেদে পল্লীর মানুষের নিকট খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান পিপিএম বিভিন্ন সময় পায়ে হেটে শহরের প্রতিটা মোড়ে মোড়ে এবং বিভিন্ন বাজারে গিয়ে তিনি লক ডাউনে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান পিপিএম বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে যানবাহন, কল-কারখানা-দোকান ও বিপনী বিতান বন্ধ। ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। এজন্য করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ বিভাগ সহায়তা প্রদান করছেন।

এসময় তিনি জেলা পুলিশ বিভাগ ও সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান হাসানুজ্জামান পিপিএম।

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান পিপিএম বলেন, ‘করোনাভাইরাস নামের অতিক্ষুদ্র জীবাণুর বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ছে গোটা পৃথিবী। এ লড়াই হচ্ছে নিজে বাঁচার এবং অন্যকে বাঁচানোর লড়াই। ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ থেকে ঝিনাইদহের মানুষদের রক্ষায় গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময়ে নিজেকে বাঁচানোর যুদ্ধ করছে সবাই। করোনার কারণে সবাই যেখানে গৃহবন্দী সেখানে বেকায়দায় পড়েছেন এজেলার নিম্ন আয়ের অসচ্ছল দরিদ্র মানুষগুলো।

তিনি আরো জানান, কাজ না থাকায় আয় নেই, নেই খাবারের নিশ্চয়তাও। এমন পরিস্থিতিতে কেউ নিজেকে অসহায় ভাববেন না। ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ বিভাগ যে কোন সমস্যায় সবসময় জেলার মানুষের পাশে আছে। ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণরোধে ঘরবন্দি হতদরিদ্রদের খাবার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কর্মহীন ও নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাকস ও সাবান, হ্যান্ডসেনিটাইজার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৩:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০
৪৯০ Time View

কর্মহীন মানুষের জন্য খাবার নিয়ে ঘুরছেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার

Update Time : ০৩:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০

ঝিনাইদহঃ

করোনা মহামারি মোকাবেলায় কর্মহীন মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ঘরে থাকা ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলাতে হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম।

ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি করোনাভাইরাস রোধে জনসমাগম বন্ধসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। লকডাউনের শুরুতেই অসহায় কর্মহীন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন পুলিশ সুপার।

দেখা গেছে, জনসমাগম এড়াতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে পুলিশ সুপার ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ছুটছেন। ২৬ মার্চ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার সাথে সাথেই মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম স্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক কার্যক্রম সহ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন।

দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে করোনা ভাইরাসের কারণে অভাব অনটনে পড়া সাধারণ মানুষকে সহায়তা প্রদানের জন্য পুলিশ সুপার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঝিনাইদহে করোনাভাইরাস রোধে হত দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় তাদের করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কেও সচেতন করছেন তিনি।

গত ২৬মার্চ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একটি স্পেশাল কুইক রেসপন্স টিম গঠন ও প্রস্তুতি দিয়ে শুরু করেন করোনা মোকাবেলার কাজ। এবর্ং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ঝিনাইদহ সদর থানাধীন প্রত্যন্ত গ্রামঅঞ্চলের দিনমজুর,ভ্যান চালক,দুঃস্থ সহ বিভিন্ন শ্রেণি ও বয়সের মানুষের মাঝে মাস্ক এবং সাবান বিতরণ করা হয়।
গত ২৮মার্চ হরিণাকুন্ডুর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান এর কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি ও মাস্ক ,স্যাভলন ,সাবান বিতরণ।

গত ৩০মার্চ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গণমানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজার শত শত হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সাবান ও মাস্ক, হ্যান্ডসেনিটাইজার বিতরণ।

গত ৩১মার্চ সকালে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গঠিত ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমের (ছজঞ) সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান।এবং ঝিনাইদহ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে রিক্সা/ভ্যান চালক, দিনমজুর ও বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষের মাঝে জেলা পুলিশের উদ্যোগে চাল,ডাল,ভোজ্য তেল,আলু,সাবান ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করা হয়।

গত পহেলা এপ্রিলে পুলিশ সুপার ঝিনাইদহ মহোদ্বয়ের নির্দেশক্রমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে ঝিনাইদহ বাসির উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়।

গত ২ এপ্রিল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি সহ স্থানীয় জনসাধারনকে নিজ বাড়ীতে অবস্থানের জন্য পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম নির্দেশে আহবান জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)মোঃ আবুল বাশার, ঝিনাইদহ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ সালাহউদ্দিন সহ সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স নিয়ে প্রচার চালানো হয়।

হরিনাকুন্ডুর প্রত্যান্ত পল্লী জনপদে গভীর রাতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক সাবান এবং হ্যান্ডস্যানিটাইজার সহায়তা প্রদান করেন পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম।

কোটচাদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে-গ্রামে চাল ডাল তেল লব্ন সাবান হ্যান্ড সেনিটাইজার মাস্ক নিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাজির হন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান এবং ৫এপ্রিল পুনরায় রাতের বেলা কোটচাঁদপুর থানার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দিনমজুর,অসহায়,দুঃস্থ মানুষের নিকট জেলা পুলিশের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ দেওয়া হয়।

পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম নিজেই মাঠে নেমে গত ৬এপ্রিল ঝিনাইদহ শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট কার্যক্রম তদারকি করেন।এবং জেলা পুলিশের উদ্যোগে রাত্রেবেলা মহেশপুর থানা এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র,দুঃস্থ ,শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ।

গত ৭এপ্রিল করোনা পরিস্থিতির শিকার অসহায় মানুষের জন্য জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালীগঞ্জ থানাধীন বারোবাজার ও কাশিপুর বেদে পল্লীর মানুষের নিকট খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান পিপিএম বিভিন্ন সময় পায়ে হেটে শহরের প্রতিটা মোড়ে মোড়ে এবং বিভিন্ন বাজারে গিয়ে তিনি লক ডাউনে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান পিপিএম বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে যানবাহন, কল-কারখানা-দোকান ও বিপনী বিতান বন্ধ। ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। এজন্য করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ বিভাগ সহায়তা প্রদান করছেন।

এসময় তিনি জেলা পুলিশ বিভাগ ও সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান হাসানুজ্জামান পিপিএম।

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান পিপিএম বলেন, ‘করোনাভাইরাস নামের অতিক্ষুদ্র জীবাণুর বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ছে গোটা পৃথিবী। এ লড়াই হচ্ছে নিজে বাঁচার এবং অন্যকে বাঁচানোর লড়াই। ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ থেকে ঝিনাইদহের মানুষদের রক্ষায় গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময়ে নিজেকে বাঁচানোর যুদ্ধ করছে সবাই। করোনার কারণে সবাই যেখানে গৃহবন্দী সেখানে বেকায়দায় পড়েছেন এজেলার নিম্ন আয়ের অসচ্ছল দরিদ্র মানুষগুলো।

তিনি আরো জানান, কাজ না থাকায় আয় নেই, নেই খাবারের নিশ্চয়তাও। এমন পরিস্থিতিতে কেউ নিজেকে অসহায় ভাববেন না। ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ বিভাগ যে কোন সমস্যায় সবসময় জেলার মানুষের পাশে আছে। ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণরোধে ঘরবন্দি হতদরিদ্রদের খাবার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কর্মহীন ও নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাকস ও সাবান, হ্যান্ডসেনিটাইজার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে