ঢাকা ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কারাগার থেকে আরও ৯ শিক্ষার্থীর জামিনে মুক্তি

Reporter Name

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় সংঘাত, ভাঙচুর, উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আরও নয় শিক্ষার্থী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁরা মুক্তি পান। এ নিয়ে গত দুদিনে ১৮ জন শিক্ষার্থী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নয় শিক্ষার্থী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

আজ আরও নয়জন শিক্ষার্থীর জামিনে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগারের ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ জাহিদুল আলম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, নয়জনের জামিননামা বুঝে পাওয়ায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কারাগারে বন্দী অন্য শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামিনের কাগজপত্র হাতে পেলে তাঁদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে।

আজ যে নয় শিক্ষার্থী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, তাঁরা হলেন বাড্ডা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র জাহিদুল হক, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র নূর মোহাম্মদ, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র এ এইচ এম খালেদ রেজা, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেদওয়ান আহমেদ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাশেদুল ইসলাম, ভাটারা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাখাওয়াত হোসেন, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আজিজুল করিম, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সিহাব শাহরিয়ার ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তরিকুল ইসলাম।

সকাল সাড়ে আটটার দিকে মুক্তি পাওয়া নয় শিক্ষার্থীকে কারাফটকে স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তাঁরা জানান, এখনো স্বজনেরা এসে পৌঁছাননি। স্বজনেরা এলে তাঁদের সঙ্গে বাড়ি ফিরবেন। এদিকে দু-তিনজন ছাত্র বলেন, তাঁরা কোনো অপরাধ করেননি। অথচ পুলিশ তাঁদের ধরে নিয়ে এসে মামলায় যুক্ত করেছে।

ঢাকার থানা ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় সংঘাত, ভাঙচুর, উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ৫১টি মামলায় ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে ৫২ জন শিক্ষার্থী। গতকাল ঢাকার আদালতে জামিন চেয়ে ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ২২ জন শিক্ষার্থীর জামিননামা আদালত থেকে কারাগারে পৌঁছায়।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:৩৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অগাস্ট ২০১৮
৮৮২ Time View

কারাগার থেকে আরও ৯ শিক্ষার্থীর জামিনে মুক্তি

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অগাস্ট ২০১৮

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় সংঘাত, ভাঙচুর, উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আরও নয় শিক্ষার্থী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁরা মুক্তি পান। এ নিয়ে গত দুদিনে ১৮ জন শিক্ষার্থী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নয় শিক্ষার্থী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

আজ আরও নয়জন শিক্ষার্থীর জামিনে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগারের ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ জাহিদুল আলম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, নয়জনের জামিননামা বুঝে পাওয়ায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কারাগারে বন্দী অন্য শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামিনের কাগজপত্র হাতে পেলে তাঁদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে।

আজ যে নয় শিক্ষার্থী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, তাঁরা হলেন বাড্ডা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র জাহিদুল হক, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র নূর মোহাম্মদ, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র এ এইচ এম খালেদ রেজা, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রেদওয়ান আহমেদ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাশেদুল ইসলাম, ভাটারা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাখাওয়াত হোসেন, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আজিজুল করিম, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সিহাব শাহরিয়ার ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তরিকুল ইসলাম।

সকাল সাড়ে আটটার দিকে মুক্তি পাওয়া নয় শিক্ষার্থীকে কারাফটকে স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তাঁরা জানান, এখনো স্বজনেরা এসে পৌঁছাননি। স্বজনেরা এলে তাঁদের সঙ্গে বাড়ি ফিরবেন। এদিকে দু-তিনজন ছাত্র বলেন, তাঁরা কোনো অপরাধ করেননি। অথচ পুলিশ তাঁদের ধরে নিয়ে এসে মামলায় যুক্ত করেছে।

ঢাকার থানা ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় সংঘাত, ভাঙচুর, উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ৫১টি মামলায় ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে ৫২ জন শিক্ষার্থী। গতকাল ঢাকার আদালতে জামিন চেয়ে ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ২২ জন শিক্ষার্থীর জামিননামা আদালত থেকে কারাগারে পৌঁছায়।