ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ ৩৫ সংখ্যালঘু পরিবার! (ভিডিওসহ)

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ২৫৭ বার পড়া হয়েছে।

ইনসেটে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান

বিশেষ প্রতিনিধি ও নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামে ৩৫ ঘর সংখ্যালঘু পরিবারের বসবাস। আর এই ৩৫ ঘর (হিন্দু) সংখ্যালঘু পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পার্শ্ববর্তী আলুকদিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান। এমনই অভিযোগ নির্যাতিত সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ১নং সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও আলুকদিয়া গ্রামের মকছেদ আলীর ছেলে।

অত্যাচারী ও নারী নির্যাতনকারী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার কবল থেকে সংখ্যালঘু দাস সম্প্রদায়ের মানুষদের রক্ষা করতে গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু দাস সম্প্রদায়ের ৫ ব্যক্তি অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এর একটি কপি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী খান লিটন ও অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন ব্যক্তি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার আলাইপুর গ্রামের দাসপাড়ায় যান। তারা এ সময় অভিযোগকারীদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। আর এই হুমকি দেওয়ায় ওই রাতেই মদন দাস ও তার ভাই বাদল দাস পরিবার নিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আমরা সংখ্যালঘু দাস সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের গ্রামে ৩৫টি পরিবারে প্রায় ১৫০ জন মানুষ বসবাস করেন। যারা বর্তমানে খুবই খারাপ এক পরিস্থিতির মধ্যে দিন পার করছেন। সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান নিজেকে প্রভাবশালী এক ব্যক্তির লোক পরিচয় দিয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের মানুষগুলোকে অতিষ্ট করে তুলছেন। তিনি ইচ্ছা মাফিক পাড়ায় প্রবেশ করে মহিলাদের তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেন। অনেক সময় মহিলাদের ভয় দেখিয়েও ব্যবহার করেন। কোন প্রতিবাদ করলে মারপিট করেন। এভাবে বেশ কিছু ঘটনা ঘটলেও প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনি। কিন্তু সম্প্রতি একটি ঘটনার পর আমরা আর প্রতিবাদ না করে বসে থাকতে পারিনি।

আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আলাইপুর গ্রামের অমরেশ কুমারের স্ত্রী অনিতা রানীকে নানা সময় মিজানুর রহমান ব্যবহার করে আসছেন। স্বামী হয়ে যার প্রতিবাদ করতে পারেনি অমরেশ। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভূল বোঝাবুঝি হলে স্ত্রী অনিতা বাবার বাড়ি চলে যান। মিজানুর রহমান সেখান থেকে অনিতাকে ফিরিয়ে আনতে চাপ দিতে থাকেন পরিবারকে। এক পর্যায়ে ২৫ আগস্ট রাতে অমরেশকে গ্রামের কলীতলায় নিয়ে যান। সেখানে ধারালো অস্ত্র গলায় ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে বলে স্ত্রী অনিতাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবি অন্যথায় লাশ হয়ে যাবি। এই অবস্থায় মিজানুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে অনিমেশ কুমার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। বর্তমানে পাড়ায় বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। রাত হলেই ভয় শুরু হয়। দিনের বেলায় মিজানুরের দৃষ্টি থেকে যুবতী মেয়েদের আর অল্পবয়সের গৃহবধুদের আড়াল করে রাখতে হয়। তার দৃষ্টি পড়লে রক্ষা নেই পাড়ার নারীদের।

হুমকিতে বাড়িছাড়া মদন দাসের ছেলে বিশ্বজিৎ দাস জানান, মঙ্গলবার রাতে লিয়াকত আলী খান লিটন ও মিজানুর রহমান এসে হুমকি দেয়। এরপর প্রাণ বাঁচাতে মা-বাবাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

গ্রাম পুলিশ সুফল দাস জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী খান লিটন ও মিজানুর রহমান ৪০/৫০ জন নেতাকর্মী নিয়ে আলাইপুর গ্রামে আসে। এরপর থেকে মদন দাস ও বাদল দাস ঘরে তালা লাগিয়ে পরিবার নিয়ে চলে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম জানান, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়ে তিনি দাসপাড়ায় গিয়েছেন এবং ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। তিনি আরো জানান, অভিযোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে মিজানুর রহমান ও লিয়াকত আলী খান লিটনের নেতৃত্বে অনেকে আসে হিন্দু পল্লীতে।

কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী খান লিটন জানান, মঙ্গলবার রাতে তারা আলাইপুর গ্রামে যান। এ ব্যাপারে খুব শিঘ্রই স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামটিতে যাবেন।

অভিযুক্ত ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে বিভিন্নসময় বিচার-আচার করতে হয়। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য না। প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন এমন অভিযোগ করা হলো সেটি তিনি বুঝতে পারেননি।

কালীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল অধিকারী জানান, বিষয়টি জানতে তারা গ্রামটি পরিদর্শন করেছেন এবং সত্যতা পেয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকেলিয়াকত আলী খান লিটন ও মিজানুর রহমান ৪০/৫০ জন নিয়ে আলাইপুর গ্রামে যায়। এতে তারা ভয় পাই। এরপর দুই পরিবার ভয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, তিনি কোন অভিযোগ পাননি। তবে বিষয়টি শুনেছেন। হুমকিতে ঘরছাড়ার বিষয়টি তিনি নিজে গিয়ে দেখবেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন জানান, একটি অভিযোগপত্র তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও জানান।

ভিডিও দেখুন…

Tag :

কালীগঞ্জে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ ৩৫ সংখ্যালঘু পরিবার! (ভিডিওসহ)

Update Time : ১০:২২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি ও নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামে ৩৫ ঘর সংখ্যালঘু পরিবারের বসবাস। আর এই ৩৫ ঘর (হিন্দু) সংখ্যালঘু পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পার্শ্ববর্তী আলুকদিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান। এমনই অভিযোগ নির্যাতিত সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ১নং সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও আলুকদিয়া গ্রামের মকছেদ আলীর ছেলে।

অত্যাচারী ও নারী নির্যাতনকারী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার কবল থেকে সংখ্যালঘু দাস সম্প্রদায়ের মানুষদের রক্ষা করতে গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু দাস সম্প্রদায়ের ৫ ব্যক্তি অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এর একটি কপি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী খান লিটন ও অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন ব্যক্তি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার আলাইপুর গ্রামের দাসপাড়ায় যান। তারা এ সময় অভিযোগকারীদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। আর এই হুমকি দেওয়ায় ওই রাতেই মদন দাস ও তার ভাই বাদল দাস পরিবার নিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আমরা সংখ্যালঘু দাস সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের গ্রামে ৩৫টি পরিবারে প্রায় ১৫০ জন মানুষ বসবাস করেন। যারা বর্তমানে খুবই খারাপ এক পরিস্থিতির মধ্যে দিন পার করছেন। সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান নিজেকে প্রভাবশালী এক ব্যক্তির লোক পরিচয় দিয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের মানুষগুলোকে অতিষ্ট করে তুলছেন। তিনি ইচ্ছা মাফিক পাড়ায় প্রবেশ করে মহিলাদের তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেন। অনেক সময় মহিলাদের ভয় দেখিয়েও ব্যবহার করেন। কোন প্রতিবাদ করলে মারপিট করেন। এভাবে বেশ কিছু ঘটনা ঘটলেও প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনি। কিন্তু সম্প্রতি একটি ঘটনার পর আমরা আর প্রতিবাদ না করে বসে থাকতে পারিনি।

আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আলাইপুর গ্রামের অমরেশ কুমারের স্ত্রী অনিতা রানীকে নানা সময় মিজানুর রহমান ব্যবহার করে আসছেন। স্বামী হয়ে যার প্রতিবাদ করতে পারেনি অমরেশ। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভূল বোঝাবুঝি হলে স্ত্রী অনিতা বাবার বাড়ি চলে যান। মিজানুর রহমান সেখান থেকে অনিতাকে ফিরিয়ে আনতে চাপ দিতে থাকেন পরিবারকে। এক পর্যায়ে ২৫ আগস্ট রাতে অমরেশকে গ্রামের কলীতলায় নিয়ে যান। সেখানে ধারালো অস্ত্র গলায় ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে বলে স্ত্রী অনিতাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবি অন্যথায় লাশ হয়ে যাবি। এই অবস্থায় মিজানুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে অনিমেশ কুমার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। বর্তমানে পাড়ায় বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। রাত হলেই ভয় শুরু হয়। দিনের বেলায় মিজানুরের দৃষ্টি থেকে যুবতী মেয়েদের আর অল্পবয়সের গৃহবধুদের আড়াল করে রাখতে হয়। তার দৃষ্টি পড়লে রক্ষা নেই পাড়ার নারীদের।

হুমকিতে বাড়িছাড়া মদন দাসের ছেলে বিশ্বজিৎ দাস জানান, মঙ্গলবার রাতে লিয়াকত আলী খান লিটন ও মিজানুর রহমান এসে হুমকি দেয়। এরপর প্রাণ বাঁচাতে মা-বাবাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

গ্রাম পুলিশ সুফল দাস জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী খান লিটন ও মিজানুর রহমান ৪০/৫০ জন নেতাকর্মী নিয়ে আলাইপুর গ্রামে আসে। এরপর থেকে মদন দাস ও বাদল দাস ঘরে তালা লাগিয়ে পরিবার নিয়ে চলে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম জানান, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়ে তিনি দাসপাড়ায় গিয়েছেন এবং ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। তিনি আরো জানান, অভিযোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে মিজানুর রহমান ও লিয়াকত আলী খান লিটনের নেতৃত্বে অনেকে আসে হিন্দু পল্লীতে।

কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী খান লিটন জানান, মঙ্গলবার রাতে তারা আলাইপুর গ্রামে যান। এ ব্যাপারে খুব শিঘ্রই স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামটিতে যাবেন।

অভিযুক্ত ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে বিভিন্নসময় বিচার-আচার করতে হয়। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য না। প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন এমন অভিযোগ করা হলো সেটি তিনি বুঝতে পারেননি।

কালীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল অধিকারী জানান, বিষয়টি জানতে তারা গ্রামটি পরিদর্শন করেছেন এবং সত্যতা পেয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকেলিয়াকত আলী খান লিটন ও মিজানুর রহমান ৪০/৫০ জন নিয়ে আলাইপুর গ্রামে যায়। এতে তারা ভয় পাই। এরপর দুই পরিবার ভয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, তিনি কোন অভিযোগ পাননি। তবে বিষয়টি শুনেছেন। হুমকিতে ঘরছাড়ার বিষয়টি তিনি নিজে গিয়ে দেখবেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন জানান, একটি অভিযোগপত্র তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও জানান।

ভিডিও দেখুন…