ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে এম ইউ কলেজে মিলের বিষাক্ত ধোঁয়ায় পাঠদান ব্যাহত

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের পাশে খড়ির মিলের ধোঁয়ায় শ্রেণিকক্ষে বসে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। কলেজটির শহীদ রেজা অনার্স ভবনের পিছনে নান্টু সাহা নামক এক ব্যবসায়ীর ধানের তুষ দিয়ে খড়ি বানানো মিলের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা।

মিলের পাইপ দিয়ে বের হচ্ছে প্রচণ্ড বিষাক্ত ধোঁয়া। ছবিটি কলেজের অনার্স বিভাগের অফিস থেকে তোলা।

সরেজমিনে বুধবার কলেজটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রচন্ড ধোঁয়া পুরো এলাকা জুড়ে। শ্রেণিকক্ষের চারপাশের জানালা বন্ধ করে শিক্ষকরা পাঠদান করাচ্ছেন। তারপরও ধোয়ার কারণে তারা শ্রেণিকক্ষে বসতে পারছেন না। ক্লাস চলাকালীন সময়ে অনেকে চোখ বন্ধ করে রাখছেন এই বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে চোখ জ¦লতে শুরু করে। কলেজটিতে প্রায় অনার্সের সব বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।

কলেজটির অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম জানান, এই বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে কক্ষে বসে থাকা অনেক কঠিন। ৫/৭ মিনিট বসার পরই চোখ জ¦লতে শুরু করে। এছাড়া এই বিষাক্ত ধোঁয়া শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আর শ্রেণিকক্ষে বসে থাকা সম্ভব হয় না।

পাশের হলুদ ভবনটি সরকারী মাহতাব উদ্দিন কলেজের অনার্স ভবন।

আরেক শিক্ষার্থী মিষ্টি রানী শর্মা বলেন, এই বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে প্রায়ই আমরা অনেকে কলেজে আসি না। প্রচণ্ড চোখ জ্বলতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে কলেজেই আসা হবে না।

সরকারি এমইউ কলেজের শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন, বিদ্যুৎ থাকলেই এই মিল সব সময় চালু থাকে। যে পাশ দিয়ে আলো বাতাস শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে ঠিক সে পাশেই খড়ির মিল। প্রচণ্ড বিষাক্ত ধোঁয়ায় আমরা অফিস এবং শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেওয়ায় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। বিষয়টি মিল মালিককে জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

পাশের হলুদ ভবনটি সরকারী মাহতাব উদ্দিন কলেজের অনার্স ভবন।

আরেক শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা জানান, অফিসের সমস্ত জানালা বন্ধ করেও এই বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। কিছুক্ষণ বসে থাকার পরই চোখ জ্বলতে থাকে। এছাড়া এই ধোঁয়া প্রচণ্ড দুর্গন্ধ।

এ ব্যাপারে জানতে খড়ির মিল মালিক নান্টু সাহার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

কলেজটির অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক শশাংক কুমার সানা বলেন, এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাইরে আছেন। স্যার আসলেই আমরা মিল মালিকের সাথে বসবো।

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০
৫০৭ Time View

কালীগঞ্জে এম ইউ কলেজে মিলের বিষাক্ত ধোঁয়ায় পাঠদান ব্যাহত

আপডেট সময় : ০১:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের পাশে খড়ির মিলের ধোঁয়ায় শ্রেণিকক্ষে বসে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। কলেজটির শহীদ রেজা অনার্স ভবনের পিছনে নান্টু সাহা নামক এক ব্যবসায়ীর ধানের তুষ দিয়ে খড়ি বানানো মিলের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা।

মিলের পাইপ দিয়ে বের হচ্ছে প্রচণ্ড বিষাক্ত ধোঁয়া। ছবিটি কলেজের অনার্স বিভাগের অফিস থেকে তোলা।

সরেজমিনে বুধবার কলেজটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রচন্ড ধোঁয়া পুরো এলাকা জুড়ে। শ্রেণিকক্ষের চারপাশের জানালা বন্ধ করে শিক্ষকরা পাঠদান করাচ্ছেন। তারপরও ধোয়ার কারণে তারা শ্রেণিকক্ষে বসতে পারছেন না। ক্লাস চলাকালীন সময়ে অনেকে চোখ বন্ধ করে রাখছেন এই বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে চোখ জ¦লতে শুরু করে। কলেজটিতে প্রায় অনার্সের সব বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।

কলেজটির অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম জানান, এই বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে কক্ষে বসে থাকা অনেক কঠিন। ৫/৭ মিনিট বসার পরই চোখ জ¦লতে শুরু করে। এছাড়া এই বিষাক্ত ধোঁয়া শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আর শ্রেণিকক্ষে বসে থাকা সম্ভব হয় না।

পাশের হলুদ ভবনটি সরকারী মাহতাব উদ্দিন কলেজের অনার্স ভবন।

আরেক শিক্ষার্থী মিষ্টি রানী শর্মা বলেন, এই বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে প্রায়ই আমরা অনেকে কলেজে আসি না। প্রচণ্ড চোখ জ্বলতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে কলেজেই আসা হবে না।

সরকারি এমইউ কলেজের শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন, বিদ্যুৎ থাকলেই এই মিল সব সময় চালু থাকে। যে পাশ দিয়ে আলো বাতাস শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে ঠিক সে পাশেই খড়ির মিল। প্রচণ্ড বিষাক্ত ধোঁয়ায় আমরা অফিস এবং শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেওয়ায় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। বিষয়টি মিল মালিককে জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

পাশের হলুদ ভবনটি সরকারী মাহতাব উদ্দিন কলেজের অনার্স ভবন।

আরেক শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা জানান, অফিসের সমস্ত জানালা বন্ধ করেও এই বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। কিছুক্ষণ বসে থাকার পরই চোখ জ্বলতে থাকে। এছাড়া এই ধোঁয়া প্রচণ্ড দুর্গন্ধ।

এ ব্যাপারে জানতে খড়ির মিল মালিক নান্টু সাহার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

কলেজটির অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক শশাংক কুমার সানা বলেন, এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাইরে আছেন। স্যার আসলেই আমরা মিল মালিকের সাথে বসবো।