কালীগঞ্জে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কমরেড আব্দুস সালাম আর নেই
ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বিশিষ্ট বাম রাজনৈতিক নেতা, প্রখ্যাত সুবক্তা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য কমরেড আব্দুস সালাম মারা গেছেন। (ইন্না—-রাজিউন)। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। কমরেড আব্দুস সালাম ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মৃত সুলতান ম-লের ছেলে।
পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে কমরেড আব্দুস সালাম হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। যশোরে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫ ডিসেম্বর তাকে ঢাকায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
কমরেড আব্দুস সালাম ছিলেন বর্ণিল রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যুক্ত হয়ে রাজনীতিক জীবনে পদার্পন করেন। ১৯৭০ সালে তিনি গোপন দলে যুক্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৭৬/৭৭ সালে আত্মসমর্পন করে তিনি প্রকাশ্যে আসেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনীতি শুরু করেন এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আখচাষী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ কৃষক মুক্তি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সর্বশেষ তিনি মাওলানা ভাসানী অনুসারি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। এছাড়া তিনি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলার একজন প্রখ্যাত সুবক্তা।
তিনি ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাতুড়ি প্রতিক নিয়ে এবং ২০০৮ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে কোদাল প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কালীগঞ্জ শাখার সভাপতি আমির হামজা বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম।
এছাড়া কমরেড আব্দুস সালামের মৃত্যুতে কালীগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন।