ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জনভোগান্তি লাঘবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ ঘন্টা সময়-

কালীগঞ্জে কৃষকদের বিষফোঁড়া সেই কাঠের সেতু পরিদর্শনে ইউএনও

 

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের কোলাবাজারে বেগবতী নদীর ওপর নির্মানাধীন সেতুর বিকল্প সড়কের সেই কাঠের সেতু পরিদর্শনে করলেন ইউএনও। উপজেলার ছালাভরা হতে কোলাবাজার জিসি সড়কের বাজার সংলগ্ন বেগবতী নদীর ওপর ৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণে কাজ চলছে। কিন্ত সেতুর বিকল্প সড়কের ওপর নদীর পানি নিষ্কাষনে অত্যন্ত সরু সেতু তৈরী করা হয়েছে। ফলে এটি দিয়ে ঠিকমত বেগবতী নদীর পানি নিষ্কাষন হচ্ছে না। এখন এই কাঠের সেতুটি কালীগঞ্জের হাজারো কৃষকের বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে।

এদিকে নদীর পানি নিষ্কাষনে গতি না থাকায় উপজেলার সুন্দরপুর, দূর্গাপুর, কোলা, জামাল ও নিয়ামতপুর এ ৫ টি ইউনিয়নের অনেকগুলো গ্রামের ফসলী মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমন রোপনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বীজতলাগুলোর চারা পঁচে গলে গেছে। এখনও সব মাঠগুলো পানির নীচে। ফলে কৃষকেরা ধরেই নিয়েছেন এ মৌসুমে এক মুঠোও আমন ধান পাবেন না। কৃষক পরিবারগুলো আগাম অভাবের হাতছানি বলে দেখছেন।

এ জনদুর্ভোগের কথা তুলে ধরে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর বুধবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দেদারুল ইসলাম সরেজমিনে সেতুটি পরিদর্শন করেন। এলাকার শত শত মানুষের সাথে কথা বলেন। এ সময় দ্রুত পানি নিষ্কাষনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪৮ ঘন্টা সময় চান।

সবশেষে নির্বাহী কর্মকর্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এই সময় বেঁধে দেন। তবে নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দেদারুল ইসলাম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সাফ জানিয়ে দেন এরপরে কোন ধরনের জনভোগান্তি মেনে নেয়া হবে না। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও এলাকার সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

সবুজদেশ/সাবজাল/এসএএস

Tag :

কালীগঞ্জে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়

জনভোগান্তি লাঘবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ ঘন্টা সময়-

কালীগঞ্জে কৃষকদের বিষফোঁড়া সেই কাঠের সেতু পরিদর্শনে ইউএনও

Update Time : ১০:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

 

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের কোলাবাজারে বেগবতী নদীর ওপর নির্মানাধীন সেতুর বিকল্প সড়কের সেই কাঠের সেতু পরিদর্শনে করলেন ইউএনও। উপজেলার ছালাভরা হতে কোলাবাজার জিসি সড়কের বাজার সংলগ্ন বেগবতী নদীর ওপর ৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণে কাজ চলছে। কিন্ত সেতুর বিকল্প সড়কের ওপর নদীর পানি নিষ্কাষনে অত্যন্ত সরু সেতু তৈরী করা হয়েছে। ফলে এটি দিয়ে ঠিকমত বেগবতী নদীর পানি নিষ্কাষন হচ্ছে না। এখন এই কাঠের সেতুটি কালীগঞ্জের হাজারো কৃষকের বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে।

এদিকে নদীর পানি নিষ্কাষনে গতি না থাকায় উপজেলার সুন্দরপুর, দূর্গাপুর, কোলা, জামাল ও নিয়ামতপুর এ ৫ টি ইউনিয়নের অনেকগুলো গ্রামের ফসলী মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমন রোপনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বীজতলাগুলোর চারা পঁচে গলে গেছে। এখনও সব মাঠগুলো পানির নীচে। ফলে কৃষকেরা ধরেই নিয়েছেন এ মৌসুমে এক মুঠোও আমন ধান পাবেন না। কৃষক পরিবারগুলো আগাম অভাবের হাতছানি বলে দেখছেন।

এ জনদুর্ভোগের কথা তুলে ধরে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর বুধবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দেদারুল ইসলাম সরেজমিনে সেতুটি পরিদর্শন করেন। এলাকার শত শত মানুষের সাথে কথা বলেন। এ সময় দ্রুত পানি নিষ্কাষনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪৮ ঘন্টা সময় চান।

সবশেষে নির্বাহী কর্মকর্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এই সময় বেঁধে দেন। তবে নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দেদারুল ইসলাম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সাফ জানিয়ে দেন এরপরে কোন ধরনের জনভোগান্তি মেনে নেয়া হবে না। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও এলাকার সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

সবুজদেশ/সাবজাল/এসএএস