ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে ছালাভরার ব্রীর্জ নির্মাণে ধীরগতি, দুর্ভোগ চরমে

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ছালাভরা ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছে অস্বাভাবিক ধীর গতিতে। প্রায়ই ব্রীজের দুই পাশে আট থেকে দশ কিলোমিটার যানজট লেগে থাকে। এতে পথচারী ও যানবাহন চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

জানা যায়, প্রায় ৬ মাস আগে জনগুরুত্বপূর্ণ কালভার্টটির মাঝের অংশ দেবে যায়। পরে কালভার্টের উপরেই এক সাইডে স্টিলের বেইলি ব্রীজ করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। পরে পুরোনো ব্রীজটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সড়ক বিভাগ।

ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের অধীনে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ করছে খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মুজাহার এন্টারপ্রাইজ। তিন মাসের মধ্যে ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। তবে এক মাসে এখনো সম্পন্ন হয়নি এক সাইডের ভাঙার কাজ। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে যেমন চরম শঙ্কা দেখা দিয়েছে তেমনি জনদুর্ভোগ আরো বাড়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

চালকরা জানান, রাতে ট্রাক নিয়ে যেতে খুব সমস্যা হয়। দীর্ঘ সময় যানজটে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সমস্যা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। সরকারের উচিত উচ্চ মহল থেকে সঠিক নজরদারি করা, কাজে গাফিলতি দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।

ঠিকাদার রেজাউল ইসলাম জানান, ২৭ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ চলছে। ব্রীজটির আগের পিলার ভাঙতে সময় লেগে যাচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ নিয়ে তিনিও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার জন্য জনবল আরো বাড়ানো হবে। মনে হচ্ছে না কাজে ধরিগতি, তবে ঠিকাদারের গাফিলতি আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:০২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০
৫৮৯ Time View

কালীগঞ্জে ছালাভরার ব্রীর্জ নির্মাণে ধীরগতি, দুর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় : ০৭:০২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ছালাভরা ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছে অস্বাভাবিক ধীর গতিতে। প্রায়ই ব্রীজের দুই পাশে আট থেকে দশ কিলোমিটার যানজট লেগে থাকে। এতে পথচারী ও যানবাহন চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

জানা যায়, প্রায় ৬ মাস আগে জনগুরুত্বপূর্ণ কালভার্টটির মাঝের অংশ দেবে যায়। পরে কালভার্টের উপরেই এক সাইডে স্টিলের বেইলি ব্রীজ করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। পরে পুরোনো ব্রীজটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সড়ক বিভাগ।

ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের অধীনে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ করছে খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মুজাহার এন্টারপ্রাইজ। তিন মাসের মধ্যে ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। তবে এক মাসে এখনো সম্পন্ন হয়নি এক সাইডের ভাঙার কাজ। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে যেমন চরম শঙ্কা দেখা দিয়েছে তেমনি জনদুর্ভোগ আরো বাড়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

চালকরা জানান, রাতে ট্রাক নিয়ে যেতে খুব সমস্যা হয়। দীর্ঘ সময় যানজটে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সমস্যা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। সরকারের উচিত উচ্চ মহল থেকে সঠিক নজরদারি করা, কাজে গাফিলতি দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।

ঠিকাদার রেজাউল ইসলাম জানান, ২৭ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ চলছে। ব্রীজটির আগের পিলার ভাঙতে সময় লেগে যাচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ নিয়ে তিনিও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার জন্য জনবল আরো বাড়ানো হবে। মনে হচ্ছে না কাজে ধরিগতি, তবে ঠিকাদারের গাফিলতি আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে।