ঝিনাইদহঃ

মাত্র ছয় বছরের শিশু রহমত। যে বয়সে তার স্কুলে যাওয়ার কথা, সেই এতটুকু বয়সেই জটিল এক রোগ বাসা বেধেছে তার শরীরে। যখন পড়ার সাথীদের সাথে খেলা করার কথা, তখন সে হাসপাতালের বেডে যন্ত্রনায় ছটফট করছে। জন্মের তিন বছর বয়স থেকে তার শরীরে বাসা বেধেছে এই রোগ।

প্রথমে তার মুখমন্ডল ফুলে উঠে। এরপর পেট ও পা থেকে শুরু করে সমস্ত শরীর ফুলে উঠে। সে সময় পায়ে পচন্ড যন্ত্রনা করে। এরপর চিকিৎসা করালে ভালো হয়ে যায়। চার থেকে পাঁচ মাস পর আবারো দেখা দেয় রোগটি। এভাবে গত তিন বছরে নয় বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে রহমত।

রহমত কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন ঈশ্বরবা গ্রামের আজিজুল বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে। পরের জমিতে কামলা খাটা এই বাবা ছেলের চিকিৎসা করাতে যা কিছু ছিল সবই বিক্রি করেছেন। আয়ের একমাত্র সম্বল ভ্যান বিক্রি করে ছেলের কিচিৎসার পিছনে ব্যয় করেছেন। একে একে ছাগল, বউ এর গলার স্বর্ণের চেইন এবং হাতের আংটি বিক্রি করে চিকিৎসার কাজে ব্যয় করেছেন। এখন সম্বল বলতে আর কিছুই নেই। গত পাঁচদিন হলো ছেলে হাসপাতালে ভর্তি। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভিাগে তার চিকিৎসা চলছে। এখন ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন দরিদ্র হতভাগা এই বাবা।

ছেলের চিকিৎসার জন্য সমাজের জনপ্রতিনিধি সহ বহু মানুষের কাছে হাত পেতেছেন কিন্তু প্রতিবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে এই বাবাকে। টাকা যোগাড় করতে গিয়ে দিশেহারা এই বাবা কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না।

শিশু রহমতের বাবা আজিজুল বিশ্বাস জানান, যখন এই রোগ দেখা দেয় তখন ১০ থেকে ২০ দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা করাতে হয়। প্রতিবারই ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।

চিকিৎসকরা বলেছেন, নিয়মিত ওষুধ খেলে ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যাবে। গত তিন বছরে সহায় সম্বল যা ছিল সবই বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেছি। এখন ছেলের জীবন বাঁচাতে মানুষের কাছে হাত পাতা ছাড়া কোন পথ নেই। তাই সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা চেয়েছে অসহায় এই বাবা আজিজুল। আজিজুলের সাথে যোগাযোগের নম্বর ০১৭১৪৫৩০৬৮৮ এবং বিক্যাশ নম্বর ০১৭৬৪২৪১৫৬২।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here