ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে ছোট ভাইয়ের বটির কোপে জখম ভাইয়ের মৃত্যু

Reporter Name

ঝিনাইদহ :

ঝিনাইদহে মিষ্টি কুমড়া নিয়ে ঝগড়ায় ছোট ভাইয়ের বঁটির কোপে জখম বড় ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের নাম মো. শাহাবুদ্দিন। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বুজিডাঙ্গা মুন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাড়ির পাশে খেলা করছিল নিহতের ছোট মেয়ে শারমিন। খেলার সময় শারমিনসহ অন্য শিশুরা বাড়ির পাশের ক্ষেত থেকে একটি মিষ্টি কুমড়া ছিঁড়ে আনে। এর পর শারমিনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তার চাচা শুকুর আলী ও তার স্ত্রী পারুল।

মেয়েকে গালাগালের প্রতিবাদ করেন শাহাবুদ্দিনের। এরপর তার ওপর হামলা করে ছোট ভাই মো. শুকুর আলী।

গুরুতর অবস্থায় শাহাবুদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

এর পর সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন মারা যান শাহাবুদ্দিন।

গত ১৮ ডিসেম্বর মো. শুকুর আলী ও তার স্ত্রী পারুল বেগমকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী রওশনারা বেগম। মামলার প্রধান আসামি শুকুর আলীকে পুলিশ আটক করে।

রওশনারা বেগম জানান, চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার রাতে আমার স্বামী মারা গেছেন। মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য আসামিরা বিভিন্ন সময় বাড়িতে এসে হুমকি দেয়। মামলা করে আমি নিজেও পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমার দুই ছোট মেয়েসহ আমি বাড়ির বাইরে বের হতে পারি না। আমি আমার ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে কী করে দিন কাটাব?

কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি মারা গেছেন। তার মৃত্যুর সনদ পেলেই আমরা ধারা সংযোজন করে আদালতে পাঠাব।

About Author Information
আপডেট সময় : ০২:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০
৬২৪ Time View

কালীগঞ্জে ছোট ভাইয়ের বটির কোপে জখম ভাইয়ের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০২:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০

ঝিনাইদহ :

ঝিনাইদহে মিষ্টি কুমড়া নিয়ে ঝগড়ায় ছোট ভাইয়ের বঁটির কোপে জখম বড় ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের নাম মো. শাহাবুদ্দিন। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বুজিডাঙ্গা মুন্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাড়ির পাশে খেলা করছিল নিহতের ছোট মেয়ে শারমিন। খেলার সময় শারমিনসহ অন্য শিশুরা বাড়ির পাশের ক্ষেত থেকে একটি মিষ্টি কুমড়া ছিঁড়ে আনে। এর পর শারমিনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তার চাচা শুকুর আলী ও তার স্ত্রী পারুল।

মেয়েকে গালাগালের প্রতিবাদ করেন শাহাবুদ্দিনের। এরপর তার ওপর হামলা করে ছোট ভাই মো. শুকুর আলী।

গুরুতর অবস্থায় শাহাবুদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

এর পর সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন মারা যান শাহাবুদ্দিন।

গত ১৮ ডিসেম্বর মো. শুকুর আলী ও তার স্ত্রী পারুল বেগমকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী রওশনারা বেগম। মামলার প্রধান আসামি শুকুর আলীকে পুলিশ আটক করে।

রওশনারা বেগম জানান, চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার রাতে আমার স্বামী মারা গেছেন। মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য আসামিরা বিভিন্ন সময় বাড়িতে এসে হুমকি দেয়। মামলা করে আমি নিজেও পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমার দুই ছোট মেয়েসহ আমি বাড়ির বাইরে বের হতে পারি না। আমি আমার ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে কী করে দিন কাটাব?

কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি মারা গেছেন। তার মৃত্যুর সনদ পেলেই আমরা ধারা সংযোজন করে আদালতে পাঠাব।