ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তালাব হোসেন হত্যাকারীদের বিচার ও কালীগঞ্জ থানার ওসির বদলির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে কাশিপুর বেদে পল্লীর সদস্যরা। রোববার ১১টার দিকে নিহতের স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তানসহ শতাধিক বেদে নারী পুরুষ ও শিশু কালীগঞ্জ থানায় গিয়ে আসামিদের আটকের দাবি জানান।
এসময় ওসি মো. শহিদুল ইসলাম নিহত তালাব হোসেনের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কটুক্তি করেন। ওসির কটুক্তিতে ক্ষুদ্ধ বেদে সদস্যরা যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় আধা ঘন্টা সড়কের উপর অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখে তারা। এসময় সড়কের উভয় পাশে যাত্রীবাহি বাস, ট্রাকের লম্বা লাইন পড়ে যায়। প্রচন্ড গরমে যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়ে। তবে অবরোধস্থলে থানা পুলিশ বা প্রশাসনের কোন সদস্যকে সেখানে দেখা যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে তালাব হোসেন হত্যার শিকার হয়। তার পেটে লোহার রড ঢুকিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে রুবেল হোসেন নামে একজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আগেই স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেন। পুলিশ হত্যার মাস্টারমাইন্ড সেলিমকে আসামি করেনি। এছাড়াও ওসির বিরুদ্ধে বাদিকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।

সড়ক অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়া ফিরোজ হোসেন ও সাইদুর রহমান জানান, বৃৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে নিহতের স্ত্রী জামেদা বেগম ছয় বছরের সন্তান রুমানা, চার বছরের সোহানা ও দুই বছরের রেহানাকে নিয়ে থানায় যান। এসময় তাদের সাথে বেদে পল্লীর আরো অর্ধশতাধিক সদস্য ছিল। থানায় গিয়ে তারা দাবি করেন, হত্যার সাথে আরো অনেকে জড়িত আছে, যাদের নাম মামলায় নেই। বাদিকে ভুল বুঝিয়ে একজনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে আটকের দাবি করেন। এসময় ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই তিন সন্তান ও স্ত্রীকে ন মে কুটুক্তি করেন। মামলায় আর কারো নাম নতুন করে দেওয়া যাবে না। যে কারনে আমরা ওসির বদলী ও বাকি আসামিদের আটকের দাবিতে সড়ক অবরোধ করছি।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোফাজ্জেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, আসামিও গ্রেপ্তার হয়েছে। এখন তারা মামলায় নতুন করে আরো আসামি করার দাবি নিয়ে থানায় এসে বিশৃংখলা শুরু করে। এসময় তাদের থানা চত্তরে বিশৃংখলা না করার জন্য বললে উত্তেজিত হয়ে বেড়িয়ে গিয়ে পাশে মহাসড়ক অবরোধ করে।
ভিডিও…