ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোজাহিদুল ইসলাম রুমি নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার রাতে ভিকটিম ওই নারী থানায় অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় সোমবার সকালে ভিকটিম ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত মোজাহিদুল ইসলাম রুমি শহরের কলাহাট এলাকার মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী। সে উপজেলার খয়েরতলা এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ভিকটিম ওই নারীর মোবাইলে ফোন দেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মোজাহিদুল ইসলাম রুমি। এ সময় ব্যবসায়ী মোজাহিদুল ইসলাম রুমি বিয়ে ও টাকার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভিকটিম ওই নারী।
ভিকটিম ওই নারী সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, রবিবার রাতে তিনি থানায় অভিযোগ দেন। সোমবার তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। দুপুরের দিকে ব্যবসায়ী মোজাহিদুল ইসলাম রুমি তাকে ফোন দেন। এ সময় তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। এছাড়াও টাকা দিয়ে মীমাংসা করার প্রস্তাব দেন তিনি। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত রুমির গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।
বিয়ের প্রস্তাব ও টাকা দিয়ে মীমাংসার বিষয়ে জানতে সোমবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী মোজাহিদুল ইসলাম রুমির মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে সোমবার সকালে ভিকটিম ওই নারী বলেন, সম্প্রতি তিনি শহরের কলাহাট এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য খোঁজ করতে যান। কলাহাট মোড়ে গিয়ে মোজাহিদুল ইসলাম রুমির সাথে পরিচিত হন। রুমি পশু হাসপাতাল পাড়ায় একটি বাসার খোঁজ দেন এবং বলেন বাসাটি তার বন্ধু ইকরামুলের। আপনি আপনার মোবাইল নম্বর রেখে যান পরে আপনাকে জানাবো।
তিনি আরো বলেন, এর দুইদিন পর রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তিনি ফোন করে যেতে বলেন। সেখানে গেলে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিছনের একটি গুদামে বসতে বলেন। সেখানে বসলে রুমি কিছুক্ষণ পর এসে আমাকে একপর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় তিনি চিৎকার দিতে চাইলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় রুমি। রুমি এসময় বলে রাজনীতি করি তোকে এখানে মেরে পুঁতে রাখলে কে বাঁচাতে আসবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মোজাহিদুল ইসলাম রুমি ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, বিরোধী রাজনীতি করলে অনেক কিছুই রটানো হয়। আমি সত্যিই এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার সকালে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সবুজদেশ/এসএএস