ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করলো ছাত্রদল ও এলাকাবাসী

শিশু নাইমের মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী

 

সব আশায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলও ব্যর্থ হয়েছিল। টানা দুই দিন শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের ডুবুরি দল। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেন ডুবুরি দল। এরপর রাতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘোষণা দেয় বুধবার সকালে পুনরায় উদ্ধার কার্যক্রম করবেন তারা।

বুধবার সকাল ৯ টার দিকে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ভৈরব নদীতে পানির স্রোত ও কচুরিপনার কারণে হিমশিম খেতে হয় তাদের। কিন্তু নদীতে থাকা কচুরিপনা সরিয়ে তারা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার স্থান থেকে প্রায় ৩০০ ফুট দূরে দুপুর ১২ টার দিকে শিশু নাইমের মরদেহ উদ্ধারে সফল হন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বারবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো: সোহেল রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী

জানা গেছে, গত সোমবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মাসলিয়া এলাকায় বন্ধুদের সাথে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন নাইম ইসলাম (৮) নামে এক শিশু। শিশু নাইম ইসলাম মাসলিয়া গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে ও মাসলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। নাইমসহ চার বন্ধু মাসলিয়া গ্রামের ব্রীজের উপর থেকে ভৈরব নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় অন্যরা নদী থেকে উঠে গেলেও খোঁজ মেলেনি শিশু নাইমের। পরে খুলনা থেকে ডুবুরি দল ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করে।

নদীতে শিশুর মরদেহ উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

এলাকাবাসী জানায়, সোমবার নদীতে নিখোঁজ হয় শিশু নাইম। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও এলাকাবাসী গত দুইদিন চেষ্টা করেও তার মরদেহের সন্ধান পাননি। সবাই ভেবেছিল স্রোতে ভেসে গেছে শিশু নাইমের মরদেহ। কিন্তু বুধবার এলাকাবাসী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আবারও শিশুটির মরদেহের সন্ধানে অভিযান চালায়।

কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী মোর্তুজা রেজা লিটু জানান, ছাত্রদলের নেতৃত্বে ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বুধবার তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর ১২ টার দিকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার স্থান থেকে প্রায় ৩০০ ফুট দূর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আলী ইশতিয়াক জানান, গত দুইদিনে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি শিশু নাইমের মরদেহ। এরপর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ভাইয়ের নির্দেশে ছাত্রদল সিদ্ধান্ত নেয় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রম করবে। এরপর সকালে গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে শিশু নাইমের মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং দুপুর ১২ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় বারবাজার ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের দুইদিন পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

কালীগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করলো ছাত্রদল ও এলাকাবাসী

Update Time : ০৬:৩০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

সব আশায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলও ব্যর্থ হয়েছিল। টানা দুই দিন শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের ডুবুরি দল। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেন ডুবুরি দল। এরপর রাতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘোষণা দেয় বুধবার সকালে পুনরায় উদ্ধার কার্যক্রম করবেন তারা।

বুধবার সকাল ৯ টার দিকে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ভৈরব নদীতে পানির স্রোত ও কচুরিপনার কারণে হিমশিম খেতে হয় তাদের। কিন্তু নদীতে থাকা কচুরিপনা সরিয়ে তারা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার স্থান থেকে প্রায় ৩০০ ফুট দূরে দুপুর ১২ টার দিকে শিশু নাইমের মরদেহ উদ্ধারে সফল হন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বারবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো: সোহেল রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী

জানা গেছে, গত সোমবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মাসলিয়া এলাকায় বন্ধুদের সাথে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন নাইম ইসলাম (৮) নামে এক শিশু। শিশু নাইম ইসলাম মাসলিয়া গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে ও মাসলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। নাইমসহ চার বন্ধু মাসলিয়া গ্রামের ব্রীজের উপর থেকে ভৈরব নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় অন্যরা নদী থেকে উঠে গেলেও খোঁজ মেলেনি শিশু নাইমের। পরে খুলনা থেকে ডুবুরি দল ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করে।

নদীতে শিশুর মরদেহ উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

এলাকাবাসী জানায়, সোমবার নদীতে নিখোঁজ হয় শিশু নাইম। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও এলাকাবাসী গত দুইদিন চেষ্টা করেও তার মরদেহের সন্ধান পাননি। সবাই ভেবেছিল স্রোতে ভেসে গেছে শিশু নাইমের মরদেহ। কিন্তু বুধবার এলাকাবাসী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আবারও শিশুটির মরদেহের সন্ধানে অভিযান চালায়।

কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী মোর্তুজা রেজা লিটু জানান, ছাত্রদলের নেতৃত্বে ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বুধবার তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর ১২ টার দিকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার স্থান থেকে প্রায় ৩০০ ফুট দূর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আলী ইশতিয়াক জানান, গত দুইদিনে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি শিশু নাইমের মরদেহ। এরপর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ভাইয়ের নির্দেশে ছাত্রদল সিদ্ধান্ত নেয় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রম করবে। এরপর সকালে গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে শিশু নাইমের মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং দুপুর ১২ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় বারবাজার ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের দুইদিন পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সবুজদেশ/এসএএস