ঢাকা ০৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা: আটকদের রিমান্ডের আবেদন

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া এলাকায় মাদরাসা ছাত্র হত্যাকান্ডের তদন্তে গিয়ে আসামিদের স্বজনদের হামলায় পুলিশের পিবিআইয়ের ৫জন সদস্য আহত করার ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩৫/৪০ জনেক আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৫জনকে আটকও করেছে।

আটক ৫ জন হলেন, মুশফিকুর রহমান ডাবলু, মোস্তাক আহমেদ লাভলু, আব্দুস সামাদ মিল্টন, নাসিরুল বিশ্বাস ও বাবুল হোসেন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মতলেবুর রহমান জানান, আটক ৫ জনকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখে বাড়ির পাশে ওয়াজ শুনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মাদ্রাসা ছাত্র আলামিন (১৩)। এরপর নিখোঁজের ৫ দিন পর গত ৪ ডিসেম্বর আড়পাড়া এলাকার একটি ৪তলা ভবনের পিছনের কচুবাগান থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ৫ ডিসেম্বর রাতে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মতলেবুর রহমান। এরপর হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে র‌্যাব এবং পিবিআই দুই দফা সাব্বির ও হৃদয় নামে দুই কিশোরকে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ২২ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সাব্বির ও হৃদয় নামে দুই কিশোরকে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আটক করে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন। একই সাথে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। গত ২ জানুয়ারি আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। তদন্তের দায়িত্ব পায় ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের এসআই সোহেল রানা।

সর্বশেষ ৮ তারিখে আটক দুই কিশোর সাব্বির ও হৃদয়কে নিয়ে আড়পাড়া এলাকার একটি পুকুরে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারের চেষ্টা করে। দিনব্যাপী ডুবুরি ও পানি সেচে ছুরি উদ্ধারের চালায়। এরপর বুধবার রাত ১০ টার দিকে সাব্বিরের কাছ থেকে ব্যবহৃত ছুরি ও হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিতে গেলে আসামির স্বজনরা তাদের উপর হামলা করে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলাটি দায়ের করেন ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের এসআই সোহেল রানা।

মামলায় ১নং আসামি করা হয়েছে কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, মোস্তাক আহমেদ লাভলু, মুশফিকুর রহমান ডাবলু, রহিমা পারভীন, মোছাঃ পারভীনা আক্তার, মোঃ লাল্টু বিশ্বাস, আব্দুস সালাম মিল্টন, মোছাঃ রিনি বেগম, বাবুল হোসেন, জহুরুল ইসলাম, নাসিরুল বিশ্বাস , আলম বিশ্বাস , মোঃ শওকত আলী, মোঃ মোস্তফা বিশ্বাস , ইব্রাহীম খলীল লিটন, ইকবাল হোসেন খোকন, সালাম বিশ্বাস ও অপু বিশ্বাস।

Tag :

About Author Information
Update Time : ১০:০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০
৬৭২ Time View

কালীগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা: আটকদের রিমান্ডের আবেদন

Update Time : ১০:০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া এলাকায় মাদরাসা ছাত্র হত্যাকান্ডের তদন্তে গিয়ে আসামিদের স্বজনদের হামলায় পুলিশের পিবিআইয়ের ৫জন সদস্য আহত করার ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩৫/৪০ জনেক আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৫জনকে আটকও করেছে।

আটক ৫ জন হলেন, মুশফিকুর রহমান ডাবলু, মোস্তাক আহমেদ লাভলু, আব্দুস সামাদ মিল্টন, নাসিরুল বিশ্বাস ও বাবুল হোসেন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মতলেবুর রহমান জানান, আটক ৫ জনকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখে বাড়ির পাশে ওয়াজ শুনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মাদ্রাসা ছাত্র আলামিন (১৩)। এরপর নিখোঁজের ৫ দিন পর গত ৪ ডিসেম্বর আড়পাড়া এলাকার একটি ৪তলা ভবনের পিছনের কচুবাগান থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ৫ ডিসেম্বর রাতে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মতলেবুর রহমান। এরপর হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে র‌্যাব এবং পিবিআই দুই দফা সাব্বির ও হৃদয় নামে দুই কিশোরকে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ২২ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সাব্বির ও হৃদয় নামে দুই কিশোরকে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আটক করে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন। একই সাথে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। গত ২ জানুয়ারি আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। তদন্তের দায়িত্ব পায় ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের এসআই সোহেল রানা।

সর্বশেষ ৮ তারিখে আটক দুই কিশোর সাব্বির ও হৃদয়কে নিয়ে আড়পাড়া এলাকার একটি পুকুরে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারের চেষ্টা করে। দিনব্যাপী ডুবুরি ও পানি সেচে ছুরি উদ্ধারের চালায়। এরপর বুধবার রাত ১০ টার দিকে সাব্বিরের কাছ থেকে ব্যবহৃত ছুরি ও হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিতে গেলে আসামির স্বজনরা তাদের উপর হামলা করে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলাটি দায়ের করেন ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের এসআই সোহেল রানা।

মামলায় ১নং আসামি করা হয়েছে কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, মোস্তাক আহমেদ লাভলু, মুশফিকুর রহমান ডাবলু, রহিমা পারভীন, মোছাঃ পারভীনা আক্তার, মোঃ লাল্টু বিশ্বাস, আব্দুস সালাম মিল্টন, মোছাঃ রিনি বেগম, বাবুল হোসেন, জহুরুল ইসলাম, নাসিরুল বিশ্বাস , আলম বিশ্বাস , মোঃ শওকত আলী, মোঃ মোস্তফা বিশ্বাস , ইব্রাহীম খলীল লিটন, ইকবাল হোসেন খোকন, সালাম বিশ্বাস ও অপু বিশ্বাস।