ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে, দুর্ভোগে চাষীরা

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় তিন গ্রামের প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারও চাষী। বৃষ্টির পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা না থাকায় কোন চাষাবাদ করতে পারছেন না তারা।

চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার নরদহি, মোল্যাডাঙ্গা ও বগেরগাছি এই তিন গ্রামের প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে। কোন আবাদই করতে পারছেন না তারা। এতে কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে এই এলাকার চাষীদের। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু বারবার উদ্যোগ নিলেও সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগের দাবি জানান তারা।

পানিতে নষ্ট হচ্ছে পটল ক্ষেত

কওসার শেখ নামে এক চাষী বলেন, এই মাঠের জলাবদ্ধতা নিষ্কাষণের জন্য অনেকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বৃষ্টির পানিতে এই মাঠ একদম তলিয়ে যায়। কোন চাষাবাদ করা যায় না।

সন্তোষ গাইন নামে আরেক চাষী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠের পানি জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছেন। এই মাঠের হাজার হাজার বিঘা জমি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। একমাত্র পানির কারণে কোন আবাদ করা যায় না। যদি এই পানি নিষ্কাষন করা হয় তাহলে এই এলাকার মানুষ স্বস্তি পাবে। তারা চাষাবাদ করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারবে।

প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত

শুকুর আলী বলেন, এই মাঠে তার ১০ বিঘা জমি আছে। এই মাঠের জমি ছাড়া তাদের অন্য কোথাও জমি নেই। এই জমির উপরেই তাদের সংসার চালাতে হয়। কিন্তু পানির কারণে আবাদ হয় না। খুব কষ্টে তাদের দিন কাটে। এই মাঠের পরেই একটি বাওড় আছে। সেখানে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করা হলে এই মাঠের প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে চাষাবাদ করা যাবে। সরকারের কাছে আবেদন যেন এই পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করে।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেদারুল ইসলাম বলেন, উক্ত মাঠের চাষীরা লিখিত আবেদন দিলে অবশ্যই জনস্বার্থে মাঠের পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

ঝিনাইদহ খাদ্যগুদামে ৩৩ মেট্রিক টন গম জব্দ, তদন্ত কমিটি গঠন

কালীগঞ্জে প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে, দুর্ভোগে চাষীরা

Update Time : ০৭:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় তিন গ্রামের প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারও চাষী। বৃষ্টির পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা না থাকায় কোন চাষাবাদ করতে পারছেন না তারা।

চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার নরদহি, মোল্যাডাঙ্গা ও বগেরগাছি এই তিন গ্রামের প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে। কোন আবাদই করতে পারছেন না তারা। এতে কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে এই এলাকার চাষীদের। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু বারবার উদ্যোগ নিলেও সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগের দাবি জানান তারা।

পানিতে নষ্ট হচ্ছে পটল ক্ষেত

কওসার শেখ নামে এক চাষী বলেন, এই মাঠের জলাবদ্ধতা নিষ্কাষণের জন্য অনেকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বৃষ্টির পানিতে এই মাঠ একদম তলিয়ে যায়। কোন চাষাবাদ করা যায় না।

সন্তোষ গাইন নামে আরেক চাষী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠের পানি জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছেন। এই মাঠের হাজার হাজার বিঘা জমি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। একমাত্র পানির কারণে কোন আবাদ করা যায় না। যদি এই পানি নিষ্কাষন করা হয় তাহলে এই এলাকার মানুষ স্বস্তি পাবে। তারা চাষাবাদ করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারবে।

প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত

শুকুর আলী বলেন, এই মাঠে তার ১০ বিঘা জমি আছে। এই মাঠের জমি ছাড়া তাদের অন্য কোথাও জমি নেই। এই জমির উপরেই তাদের সংসার চালাতে হয়। কিন্তু পানির কারণে আবাদ হয় না। খুব কষ্টে তাদের দিন কাটে। এই মাঠের পরেই একটি বাওড় আছে। সেখানে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করা হলে এই মাঠের প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে চাষাবাদ করা যাবে। সরকারের কাছে আবেদন যেন এই পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করে।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেদারুল ইসলাম বলেন, উক্ত মাঠের চাষীরা লিখিত আবেদন দিলে অবশ্যই জনস্বার্থে মাঠের পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সবুজদেশ/এসএএস