ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া গ্রামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি করে পালানোর সময় তিন ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে গ্রামবাসী। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের সাথী খাতুনকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটক ডাকাত সদস্যরা হলেন- ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পার্বতীপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে শাহাবুর মন্ডল, বইটাপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে রানা হোসেন ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের আবাইদুল মন্ডলের ছেলে তুষার আহমেদ সাব্বির। এছাড়াও ডাকাত দলের আরো ৫ সদস্য পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, বেজপাড়া গ্রামের বজলুল করিমের বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করতে আসে ডাকাত দলের ৮ সদস্য। এ সময় বাড়িতে তার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিল না। মাদকদ্রব্যের অভিযানের কথা বলে ৮ জনই বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বাড়ির আলমারি ও শোকেজের ড্রয়ার ভেঙে ১৫/২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে ওই নারীর চিৎকারে গ্রামবাসীরা ছুটে এসে ডাকাত সদস্যদের আটকানোর চেষ্টা করে। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকা অবস্থায় তিন সদস্যকে আটক করে গ্রামবাসী। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ডাকাত দলের তিন সদস্যকে থানায় নিয়ে যায়।
ডাকাতি হওয়া বাড়ির গৃহিনী রিজিয়া খাতুন বলেন, ৮ জনের একটি দল পুলিশ পরিচয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা বলে তারা থানা থেকে এসেছেন। এ সময় তারা বাড়িতে গাঁজা নিয়ে কেউ প্রবেশ করেছে বলে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। তাদের সবার হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় তারা বাড়ির ২য় তলায় নিয়ে যায়। পরে নিচে এসে দেখি তারা আলমারিসহ ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্রের ড্রয়ার ভেঙে ১৮ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণ , নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন ডাকাত সদস্যকে থানায় নিয়ে আসে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাকি সদস্যদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
সবুজদেশ/এসএএস