ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে বাড়ি থেকে নারীসহ পুলিশ সদস্যকে বন্দী, মারপিট

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাবরা গ্রামের একটি বাড়িতে নাসির হোসেন নামে পুলিশের এক কনস্টেবলকে নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় বন্দী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল নাসির ও বাবরা গ্রামের এক গৃহবধু কে মারধর করে পরিবারের অন্য সদস্যরা। এরপর কালীগঞ্জ থানার তদন্ত ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।

পুলিশ সদস্য নাসির হোসেন কালীগঞ্জ থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। সোমবার রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভিকটিম ওই গৃহবধু সাংবাদিকদের জানান, আমার বাবার বাড়ি কাশিপুর। সেখান থেকেই নাসিরের সাথে আমার পরিচয়। আজ দিয়ে উনি আমার বাড়িতে দুই দিন এসেছে। ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় তাকে আমি নাস্তা করতে দেয়। উনি নাস্তা করার সময় হঠাও কয়েকজন ঘরের মধ্যে ঢুকে আমাদের মারধর শুরু করেন।

তিনি আরো জানান, আমার স্বামী চিনিকলে চাকরি করে। সে বাড়িতে ছিল না। আমার শ^শুরবাড়ির অনেকেই আমাকে দেখতে পারে না। এজন্য আমাকে নিয়ে এমন চক্রান্ত করছে। ওই পুলিশের সাথে আমার শারিরীকভাবে কোন কিছুই হয়নি।

আপত্তিকর অবস্থায় দেখা জুয়েল নামের এক যুবক বলেন, তিনি আমার ভাইয়ের বউ। আমি বাড়িতে ভাত খাচ্ছিলাম। এ সময় আমার স্ত্রী বলে, দেখো ওই ঘরে কে যেন এসেছে। অনেক সময় হয়ে গেছে এখনো বের হয়নি। এরপর আমি ভাত খেয়ে আমার চাচার সাথে নিয়ে দেখি দুইজনই উলঙ্গ। এরপর তাদের আমরা বন্দী করে রাখি।

ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নাসির হোসেন বলেন, ওই মহিলা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। এজন্যই মূলত আসা। আসার পরপরই এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া তেমন কিছুই না।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, নাসির নামে ওই পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:০০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০
৭২৮ Time View

কালীগঞ্জে বাড়ি থেকে নারীসহ পুলিশ সদস্যকে বন্দী, মারপিট

আপডেট সময় : ১০:০০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাবরা গ্রামের একটি বাড়িতে নাসির হোসেন নামে পুলিশের এক কনস্টেবলকে নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় বন্দী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল নাসির ও বাবরা গ্রামের এক গৃহবধু কে মারধর করে পরিবারের অন্য সদস্যরা। এরপর কালীগঞ্জ থানার তদন্ত ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।

পুলিশ সদস্য নাসির হোসেন কালীগঞ্জ থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। সোমবার রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভিকটিম ওই গৃহবধু সাংবাদিকদের জানান, আমার বাবার বাড়ি কাশিপুর। সেখান থেকেই নাসিরের সাথে আমার পরিচয়। আজ দিয়ে উনি আমার বাড়িতে দুই দিন এসেছে। ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় তাকে আমি নাস্তা করতে দেয়। উনি নাস্তা করার সময় হঠাও কয়েকজন ঘরের মধ্যে ঢুকে আমাদের মারধর শুরু করেন।

তিনি আরো জানান, আমার স্বামী চিনিকলে চাকরি করে। সে বাড়িতে ছিল না। আমার শ^শুরবাড়ির অনেকেই আমাকে দেখতে পারে না। এজন্য আমাকে নিয়ে এমন চক্রান্ত করছে। ওই পুলিশের সাথে আমার শারিরীকভাবে কোন কিছুই হয়নি।

আপত্তিকর অবস্থায় দেখা জুয়েল নামের এক যুবক বলেন, তিনি আমার ভাইয়ের বউ। আমি বাড়িতে ভাত খাচ্ছিলাম। এ সময় আমার স্ত্রী বলে, দেখো ওই ঘরে কে যেন এসেছে। অনেক সময় হয়ে গেছে এখনো বের হয়নি। এরপর আমি ভাত খেয়ে আমার চাচার সাথে নিয়ে দেখি দুইজনই উলঙ্গ। এরপর তাদের আমরা বন্দী করে রাখি।

ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নাসির হোসেন বলেন, ওই মহিলা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। এজন্যই মূলত আসা। আসার পরপরই এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া তেমন কিছুই না।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, নাসির নামে ওই পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।