সবুজদেশ ডেক্সঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর ও কমলাপুর গ্রামের দুটি বাড়িতে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দিনগত রাতে শ্রীরামপুর গ্রামে বিমানবাহিনীর অফিসার ও কমলাপুর গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকারা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে তিনজনকে জখম করেছে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, ডাকাতরা ডাকাতি শেষে গান্না সড়কের সিংহদ বেলতলা মাঠে একটি আখক্ষেতে কয়েকটি বোমা, ডাকাতিতে ব্যবহৃত কিছু জিনিস ফেলে রেখে যায়। সকালে সেগুলো আলামত হিসেবে জব্দ করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে শ্রীরামপুর গ্রামের যে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে, সেই বাড়ির মালিক বিমানবাহিনীর ফ্লাইট লেপ্টেনেন্ট অফিসার আসাদ হোসেন। তিনি যশোর মতিউর বিমানঘাঁটিতে কর্মরত রয়েছেন।
আসাদের ভাবি জান্নাতুন খাতুন বলেন, ‘রাত একটার দিকে বাড়ির ভেতরে ৭-৮ জন ডাকাত ঢোকে। আর বাড়ির নিচে আরো ৮-৯ জন ডাকাত ছিল। তারা এসেই আমাদের মুখ, হাত ও পা বেঁধে ঘরের সব আসবাবপত্র তছনছ করে। কী পরিমাণ স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সা নিয়েছে আমি বলতে পারবো না। ডাকাতরা যাওয়ার সময় আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।’
ডাকাতের হামলায় আহত বিমানবাহিনীর ফ্লাইট লেপ্টেনেন্ট অফিসার আসাদ হোসেনের বাবা অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য আমজাদ হোসেন, মা মনোয়ারা বেগমকে যশোর সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ভাই আজাদ হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
বিমানবাহিনীর ফ্লাইট লেপ্টেনেন্ট অফিসার আসাদ হোসেন ফোনে বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার বাবা-মাকে যশোর সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।’
এদিকে, একই রাতে শ্রীরামপুরের পাশে কমলাপুর গ্রামে কুয়েত প্রবাসী জনৈক লাল মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
পরিবারের দাবি, রাত আড়াইটার দিকে ডাকাতরা ১৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ এক লাখ টাকা ও জামা-কাপড় নিয়ে যায়।
প্রবাসী লাল মিয়ার বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে বাড়ির ১৪টি তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে প্রায় ১৫ জন ডাকাত। আমরা বাড়িতে দুইজন ছিলাম। এ সময় ১৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ এক লাখ টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে গেছে ডাকাতরা।’
সুন্দরপুর দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিরকোল গ্রামের গ্রামপুলিশ ওসমান আলী জানান, সকালে তারা দেখতে পান বেলতলা মাঠে একটি ব্যাগে কয়েকটি হাতবোমা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ব্যাগ, কাপড়, লুঙি, টর্চলাইটসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র একটি আখক্ষেতে পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে এগুলো আলামত হিসেবে উদ্ধার করেছে নিয়ে গেছে। স্থানীয়দের ধারণা, এগুলো ডাকাতদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র।
ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনার রাতে ওই দুটি বাড়িতে যান কালীগঞ্জ থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন। তিনি জানান, বাড়ি দুটিতে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ডাকাতদলকে আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়ে গেছে।
তবে ডাকাতির ঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা হয়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। নিউজ লেখা পর্যন্ত।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here