ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে মাদ্রাসার ল্যাবে নাচ-গান: সর্বশেষ যা জানা গেল

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শোয়াইব নগর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদাকে নিজ অফিস কক্ষে ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ রেখে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। অবরুদ্ধ করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। এ ঘটনায় রবিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক প্রকল্প হার পাওয়ারের ইন্সট্রাক্টর সমীর দাসকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার ছুটির দিনে মাদ্রাসার কম্পিউটার ল্যাবটিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক প্রকল্প হার পাওয়ারের প্রশিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষণ চলছিল। এ সময় কয়েকজন প্রশিক্ষনার্থীরা নাচ-গান করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি মাদ্রাসায় নাচ-গানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে। এরপর রবিবার সকালে মাদ্রাসা খুললে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে। পরে অধ্যক্ষের নিজ অফিস কক্ষে ভিতর থেকে দরজা আটকিয়ে ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখে শ্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এ সময় কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে অফিস কক্ষের দরজা খুলতে চেষ্টা করলেও সেটি ব্যর্থ হয়। পরে বাধ্য হয়ে দুপুর ২ টার দিকে জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করার পর নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা। এ সময়ে অধ্যক্ষের অফিস কক্ষ থেকে বহিরাগত ছাত্রদের বের হতে দেখা গেছে।

শোয়াইব নগর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা সবুজদেশ নিউজকে বলেন, তাকে নিজ অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। গত ২৪ জুলাই শুক্রবার বন্ধের দিন কম্পিউটার ল্যাবে কিছু প্রশিক্ষনার্থী নাকি নাচানাচি করেছে। এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ছাড়া আর কিছু না। এ ঘটনায় আমার কাছ থেকে অনুমতিও নেয়নি। রবিবার কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে আমাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে।

হার পাওয়ার প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর সাইফুল ইসলাম সবুজদেশ নিউজকে বলেন, হার পাওয়ার প্রকল্পটি প্রাইমেসি ইনফোটেক লিটিমেড পরিচালনা করে। এ ঘটনায় প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর সমীর দাসকে কোম্পানী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম সবুজদেশ নিউজকে বলেন, রবিবার রাতে শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে আলোচনা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া হার পাওয়ার প্রকল্পের ইন্সট্রাক্টর সমীর দাসকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করানো যাবে না মর্মে সরকারি নির্দেশনা আছে।

আরো পড়ুন: কালীগঞ্জে ছুটির দিনে মাদ্রাসায় নাচ-গান, অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করলো শিক্ষার্থীরা

সবুজদেশ/এসএএস

About Author Information

কালীগঞ্জে মাদ্রাসার ল্যাবে নাচ-গান: সর্বশেষ যা জানা গেল

Update Time : ০৭:১২:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শোয়াইব নগর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদাকে নিজ অফিস কক্ষে ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ রেখে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। অবরুদ্ধ করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। এ ঘটনায় রবিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক প্রকল্প হার পাওয়ারের ইন্সট্রাক্টর সমীর দাসকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার ছুটির দিনে মাদ্রাসার কম্পিউটার ল্যাবটিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক প্রকল্প হার পাওয়ারের প্রশিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষণ চলছিল। এ সময় কয়েকজন প্রশিক্ষনার্থীরা নাচ-গান করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি মাদ্রাসায় নাচ-গানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে। এরপর রবিবার সকালে মাদ্রাসা খুললে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে। পরে অধ্যক্ষের নিজ অফিস কক্ষে ভিতর থেকে দরজা আটকিয়ে ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখে শ্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এ সময় কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে অফিস কক্ষের দরজা খুলতে চেষ্টা করলেও সেটি ব্যর্থ হয়। পরে বাধ্য হয়ে দুপুর ২ টার দিকে জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করার পর নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা। এ সময়ে অধ্যক্ষের অফিস কক্ষ থেকে বহিরাগত ছাত্রদের বের হতে দেখা গেছে।

শোয়াইব নগর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল হুদা সবুজদেশ নিউজকে বলেন, তাকে নিজ অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। গত ২৪ জুলাই শুক্রবার বন্ধের দিন কম্পিউটার ল্যাবে কিছু প্রশিক্ষনার্থী নাকি নাচানাচি করেছে। এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ছাড়া আর কিছু না। এ ঘটনায় আমার কাছ থেকে অনুমতিও নেয়নি। রবিবার কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে আমাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে।

হার পাওয়ার প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর সাইফুল ইসলাম সবুজদেশ নিউজকে বলেন, হার পাওয়ার প্রকল্পটি প্রাইমেসি ইনফোটেক লিটিমেড পরিচালনা করে। এ ঘটনায় প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর সমীর দাসকে কোম্পানী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম সবুজদেশ নিউজকে বলেন, রবিবার রাতে শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে আলোচনা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া হার পাওয়ার প্রকল্পের ইন্সট্রাক্টর সমীর দাসকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করানো যাবে না মর্মে সরকারি নির্দেশনা আছে।

আরো পড়ুন: কালীগঞ্জে ছুটির দিনে মাদ্রাসায় নাচ-গান, অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করলো শিক্ষার্থীরা

সবুজদেশ/এসএএস