অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
কালীগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ (ভিডিও)
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তার অপসারণের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানটির কয়েক’শ শিক্ষার্থী। বুধবার সকাল ১১ টার দিকে মাদ্রাসা চত্ত্বরে বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় মাদ্রাসা সুপারের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, গত এক বছর সাত মাস আগে মাদ্রাসায় যোগদান করে সুপার আতিয়ার রহমান। এরপর মাদ্রাসায় দুইজন শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, মাদ্রাসার বিভিন্ন ফান্ড তছরুপ, মাদ্রাসার দোকানভাড়ার টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত। তৎকালীন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে আঁতাত করে এসব অনিয়ম করেছেন তিনি। মাদ্রাসার প্রায় ৯ লক্ষ টাকা সে আত্মসাৎ করেছে। এখন হিসাব দিতে তিনি টালবাহানা করছেন। প্রায় ১ মাস ধরে তারা হিসাব চাচ্ছেন সুপারের কাছে। কিন্তু তিনি এখন বিএনপির স্বপন নামে স্থানীয় এক নেতার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হিসাব দিতে চাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে রয়েছে। তিনি হিসাব না দিতে পারলে পদত্যাগ করে চলে না যাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবে না বলেও জানায় শিক্ষার্থীরা।
মাদ্রসার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার সুপার আতিয়ার রহমান অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছে। সে বিগত সরকারের খুব খাস লোক ছিল। সেই সময়ে মাদ্রাসার সভাপতির কোন মূল্য দেয়নি। একক প্রভাব খাটিয়ে তিনি অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার সব আয়-ব্যয়ের হিসাব চাই। যদি তিনি হিসাব দিতে না পারেন তাহলে তার পদত্যাগ দাবি করছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দুইজন ছাত্র প্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে হিসাব প্রদানের নির্দেশনা দেয়। কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সেটি বন্ধ করে দেন সুপার। প্রায় ৩ মাস ধরে হিসাব দেওয়ার নামে টালবাহানা করছে সুপার। এভাবে চলতে থাকলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাবে।
১০ম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী সুরাইয়া খাতুন বলেন, গত ১ বছর ৭ মাস আগে আতিয়ার রহমান সুপার হিসেবে যোগদান করে। এই সময়ে তিনি মাদ্রাসাটি ধ্বংস করে দিয়েছে। বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রায় তিনমাস পাঠদান বন্ধ। দাখিল পরীক্ষার আগে একটি মডেল টেস্ট হয়, সেটিও এই আন্দোলনের কারণে বন্ধ। আমরা এই সুপারের পদত্যাগ চাই।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার আতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি তিনি দেখছেন বলেও জানান।
ভিডিও…