ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে উচ্চ আদালতে চলমান মামলা ও সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না করেই ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক অফিস নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া একই দাগের জমি সরকারি আরেকটি প্রতিষ্ঠান ছয় লেন সড়ক করার জন্য অধিগ্রহণ করছে।
একই জমি দুই সরকারি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করার বিষয়ে সোমবার দুপুর ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব সম্মেলন করেছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফরাশপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম বলেন, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে তাদের তিন মালিকের ওয়ারেশসহ ১৭ জনের ১২৪ শতক জমি রয়েছে। যা আমরা মালিকগণ পৃথকভাবে ভোগ দখল করে আসছি।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রেজিষ্ট্রি অফিস নির্মাণের জন্য জমির মালিকদের অবগত না করেই এই জমির মধ্যে থেকে ২৪ শতক জমি গোপনে অধিগ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে আমাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে মর্মে চিঠি দিয়ে টাকা গ্রহনের জন্য বলা হয়। তারা এটার প্রতিবাদ করে তৎকালীন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলামের কাছে গোপনে জমি অধিগ্রহনের কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে টাকা গ্রহনের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জমির মালিকরা টাকা গ্রহন না করে আদালতের দারস্থ হন। সেই মামলা এখনও উচ্চ আদালতে চলমান রয়েছে। অথচ জমি অধিগ্রহন সম্পন ও গ্রেজট প্রকাশ না করেই জমিতে থাকা মার্কেট জোর করে ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে সাব রেজিষ্ট্রে অফিস নির্মান করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিহত সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ও তখনকার দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন জোর করে তাদের মার্কেট ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। এদিকে এই জমির মধ্যে থেকে প্রায় ১০ শতক ইতোমধ্যে সড়ক বিভাগ অধিগ্রহন করেছেন। সেই একই জমি থেকে আরেক দফা অধিগ্রহন করা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, রেজিষ্ট্রি অফিসের জন্য ২৪ শতক জমি অধিগ্রহণ করে তাদের ৩৩ শতক জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। গত ৫ আগষ্টের পর এই ভবনের সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সংবাদ সম্মেলনে গেজেট প্রকাশের আগে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে পাঁকা ঘর ব্যবহার না করা করার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে তখনকার দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির চৌধুরির মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধা পাওয়া যায়।
সবুজদেশ/এসএএস