কালীগঞ্জে যুবক খুন, দুই ভায়ের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ফয়লা মাস্টারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী হাসান ফয়লা মাস্টারপাড়া এলাকার সফর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই ঘাতক আকরাম হোসেনকে আটক করেছে। তবে তার ভাই সাদ্দাম হোসেন ওরফে শেখ সৌরভ পলাতক। আটক আকরাম হোসেন একই এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
তবে, নিহত মেহেদীর পরিবারের পক্ষ থেকে দুই ভাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এমন অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের ভাষ্য, আকরাম ও সাদ্দাম হোসেন ওরফে শেখ সৌরভ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে মেহেদীকে।
স্থানীয়রা জানায়, রাতে বাড়িতে ভাত খেয়ে দোকানে যাচ্ছিল মেহেদী হাসান। যাওয়ার পথে প্রতিবেশী আকরাম ঘরের মধ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানায় মেহেদী। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আকরামের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে মেহেদী। এ সময় আকরাম তাকে ঘরের মধ্যে থেকে আনা ছুরি দিয়ে গলা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার ভাই সাদ্দাম হোসেনও ছিল। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মেহেদী হাসান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
নিহত মেহেদীর স্ত্রী আকলিমা আক্তার জানায়, রাত ১১ টার দিকে সে ভাত খাচ্ছিল। ভাত খাওয়া শেষের দিকে একটি ফোন আসে। এরপর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই শুনতে পান প্রতিবেশী আকরামের বাড়িতে মেহেদী পড়ে আছে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। তাদের একটি ৫ মাস বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। তার স্বামীকে সাদ্দাম ও তার ভাই আকরাম হত্যা করেছে। তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার চান।
মেহেদীর মা সাবিয়া বেগম জানায়, তার ছেলের ভিসা-পাসপোর্ট প্রস্তুত। আর তিন দিন পরে ছেলে মালয়েশিয়া চলে যাবে। কিন্তু তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাদ্দাম ও আকরাম তার ছেলেকে হত্যা করেছে। তিনি তার ছেলে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।