ঢাকা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২ সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

Reporter Name

ছবিঃ ভিকটিম ২ সন্তানের জননী।

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট ভাটপাড়া এলাকায় খোকন কুমার দাস নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ছোট ভাটপাড়া এলাকায় ভিকটিম ওই মহিলার বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটে। খোকন কুমার দাস উপজেলার বেজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এই শিক্ষকের দুইটি মেয়ে আছে।

ভিকটিম ওই মহিলা জানায়, আমার দুটি ছেলে সন্তান আছে। তারা গ্যারেজে কাজ করে। আমার স্বামী ইজিবাইক চালায়। দিনের বেলা বাড়িতে আমি একাই থাকি। এ সুযোগে গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে আমি ঘরের কোনায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ পিছন দিক থেকে এসে আমার গায়ে হাত দেওয়া শুরু করে। হাতেনাতে ধরার জন্য আমি কাউকে কিছু বলিনি। এরপর শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে আবার আমার বাড়িতে এসে আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় খোকন। এরপর আমি গায়ের চাদর দিয়ে তাকে বাঁধতে গেলে সে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি আমি আমার স্বামীকে ফোন করে বলি।

ভিকটিমের স্বামী জানায়, এ ঘটনার পর শিক্ষকের বাড়িতে জানতে গেলে আমার ভাইপো নির্মল দাসকে বাঁশ দিয়ে বাড়ি মারে। আমরা থানায় অভিযোগ করবো।

অভিযুক্ত শিক্ষক খোকন কুমার দাস মুঠোফোনে জানান, ওই মহিলা আমার কাকি হয়। আমাদের বাসা একই স্থানে। আমিও তাদের বাসায় যায়, তারাও আমাদের বাসায় আসে। সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, এখনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।

(ভিকটিম ওই মহিলার অভিযোগের অডিও রেকর্ডটি সবুজদেশ নিউজ ডটকমের কাছে সংরক্ষিত আছে)

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:১৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯
৭১৬ Time View

কালীগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২ সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:১৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট ভাটপাড়া এলাকায় খোকন কুমার দাস নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ছোট ভাটপাড়া এলাকায় ভিকটিম ওই মহিলার বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটে। খোকন কুমার দাস উপজেলার বেজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এই শিক্ষকের দুইটি মেয়ে আছে।

ভিকটিম ওই মহিলা জানায়, আমার দুটি ছেলে সন্তান আছে। তারা গ্যারেজে কাজ করে। আমার স্বামী ইজিবাইক চালায়। দিনের বেলা বাড়িতে আমি একাই থাকি। এ সুযোগে গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে আমি ঘরের কোনায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ পিছন দিক থেকে এসে আমার গায়ে হাত দেওয়া শুরু করে। হাতেনাতে ধরার জন্য আমি কাউকে কিছু বলিনি। এরপর শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে আবার আমার বাড়িতে এসে আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় খোকন। এরপর আমি গায়ের চাদর দিয়ে তাকে বাঁধতে গেলে সে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি আমি আমার স্বামীকে ফোন করে বলি।

ভিকটিমের স্বামী জানায়, এ ঘটনার পর শিক্ষকের বাড়িতে জানতে গেলে আমার ভাইপো নির্মল দাসকে বাঁশ দিয়ে বাড়ি মারে। আমরা থানায় অভিযোগ করবো।

অভিযুক্ত শিক্ষক খোকন কুমার দাস মুঠোফোনে জানান, ওই মহিলা আমার কাকি হয়। আমাদের বাসা একই স্থানে। আমিও তাদের বাসায় যায়, তারাও আমাদের বাসায় আসে। সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, এখনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।

(ভিকটিম ওই মহিলার অভিযোগের অডিও রেকর্ডটি সবুজদেশ নিউজ ডটকমের কাছে সংরক্ষিত আছে)