কালীগঞ্জে শিক্ষা কর্মকর্তা ছুটিতে, বেতন পাননি ৮৯০ জন শিক্ষক-কর্মচারী!
ঝিনাইদহঃ
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছুটিতে তাই ডিসেম্বরের বেতন-ভাতা পাননি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৭২ জন শিক্ষক।
কালীগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মেহেদী সোহরাব হোসেন জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিনা আক্তার বানু মেডিক্যাল ছুটিতে আছেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ছুটিতে থাকবেন। তিনি হাঁটুতে ব্যথার কারণে চলাফেরা করতে পারছেন না।
তিনি আরও জানান, শিক্ষা অফিসার ছুটিতে থাকায় অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ মোট ৮৯০ জন ডিসেম্বর মাসের বেতন-ভাতা পাননি। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিন আক্তার স্যার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকলেও তার আর্থিক লেনদেন বিষয়ে ক্ষমতা না থাকায় বেতন আটকে আছে। তবে বেতন চেয়ে তিনি ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা বিষয়টি মহাপরিচালককে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তিনি অনুমোদন দিলে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা বেতন দিতে পারবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালীগঞ্জের একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানান, বেতন-ভাতা না পেয়ে আর্থিক সংকটের কারণে তাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। কবে এর সমাধান হবে তা জানেন না তারা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, টিও (শিক্ষা অফিসার) স্যার ছুটিতে থাকায় আমাদের বেতন হয়নি। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার এ বিষয়ে ক্ষমতা নেই। যার কারনে বেতন ভাতা প্রদানের জন্য অর্থাৎ আর্থিক ক্ষমতার জন্য ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার শাহিন আক্তার ডিজি ও ডিপিও’র কাছে লিখিত আকারে জানিয়েছেন। ডিজি (মহাপরিচালক) স্যারের লিখিত ক্ষমতা পাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা বেতন ভাতায় স্বাক্ষর করতে পারবেন। তখন শিক্ষকরা বেতন ভাতা পাবেন।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার বানু বলেন, বেতনের বিষয়টি ওপর মহলে জানানো হয়েছে। আশা করি, দু-এক দিনের মধ্যে শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পেয়ে যাবেন।