কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) :
কালীগঞ্জে মোহনা ফাউন্ডেশন কর্তৃক হয়রানীর শিকার সংখ্যালঘু পরিবারের নির্ষাতিতা গৃহবধু সন্ধ্যা মালির দেওয়া অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মানবাধিকার কর্মীরা। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কালীগঞ্জ শাখার সভাপতি ও সম্পাদক সহ ৪ সদস্যের গঠিত টিম সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও যাচাই বাচাই শেষে গত ২১ শে মে এক রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে উল্লেখ করেছে, গৃহবধুর দেওয়া অভিযোগটির অনেক সত্যতা মিলেছে। তাই আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে নির্ষাতিতার পক্ষে অত্র সংস্থার ৫ জন আইনজীবি মামলাটির আইনি সহায়তা প্রদান করবেন। এছাড়াও ওই পরিবার যাহাতে সুবিচার পায় এজন্য সংস্থার যাচাই বাছাই কমিটি স্বাক্ষরিত কপিটি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সহ স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য গত ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা মালির দেওয়া অভিযোগটির বিষয়ে ইতিপূর্বে সংস্থার পক্ষে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কয়েক দফায় সাক্ষাত করেছিল। এবং নীরিহ পরিবারটি যাতে হয়রানীর স্বীকার না হয় সে লক্ষ্যে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তুমামলাটি আদালতে বিচারাধীর রয়েছে বলে তিনিও বিষয়টি সমাধান করতে পারেন নি।
প্রসংগত, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কালীগঞ্জ শাখা বরাবর নির্ষাতিতা গৃহবধু সুবিচার পেতে এক দেয়। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিত্বে যাচাই কমিটির পর্যবেক্ষন ও মতামতে উল্লেখ করে য়ে, তারা অভিযুক্ত মোহনা সমিতির সহকারী ম্যানেজার বিপুল কুমার শিকদার, ফিল্ড অফিসার উৎপল মন্ডল ও মোহনা সমিতির নিহারিকা দলের দলপতি রতœার সাথে আলাপ করেছেন। এতে তাদের কাছে পরিলক্ষিত হয় অভিযোগকারী সন্ধ্যা মালি ২৪/১/২০১৮ তারিখে মোহনা ফাউন্ডেশনের নিহারিকা মহিলা সমিতির সদস্য পদ লাভ করেন। তার হিসাব নং – ২৯৭। এবং গত ৭/২/২০১৮ তারিখে মোহনা ফাউন্ডেশন তাকে ১৫০০০/= টাকা ঋণ দেয়। যার বিপরিতে ২৮/২/২০১৮ তারিখ হতে ২৭/৫/১৮ তাং পর্যন্ত সাপ্তাহিক ৩৭৫/= টাকা হারে ১৫ কিস্তিতে সে মোট ৫৬২৫/ টাকা পরিশোধ করেছেন। এছাড়াও সমিতির নিকট তার সঞ্চয় বাবদ ২১৫০/= টাকা জমা আছে। প্রকৃত হিসাব মতে ওই জমা টাকা বাদ দিলে মোহনা সমিতি সন্ধ্যা মালির নিকট অবশিষ্ট ৭২২৫/= টাকা ও তার সুদ পাবে।
কিন্তু মোহনা সমিতি ওই হিসাব বাদে যোগসাজস একটি ষ্ট্যাম্পে মুদীর দোকান ভ’য়া স্কিম দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা রৃন দেখিয়ে ৩ লাখ ৪৫ হাজাার টাকা পাবে বলে আদালতে একটি মামলা দেয়। সেই উক্ত বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থাটি যাচাই বাছাই করে দেখে যে, সন্ধ্যা মালির কোন দোকান নেই। এবং আবেদনকারীর যে স্বাক্ষর দেখনো হয়েছে তাও সন্ধ্যা মালির নয় বলে সে দাবী করেছে। এছাড়াও জামিনদার হিসেবে দলের পক্ষে রতœার নাম সহি থাকলেও বাস্তবে রতœা নিরক্ষর। সন্ধ্যা মালির দাবী যে, সে কোন দিনই কোন ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেনি বা ৩ লাখ টাকাও নেননি। অভিযোগের এ বিষয়গুলি জানতে যাচাই বাছাই কমিটি মোহনা সমিতির সহকারী ম্যানেজার বিপুল কুমার শিকদারের দপ্তরে গেলে তিনি মানবাধিকার কর্মীদের সাথে কথা বলতে অস্বীকার করেন।
সর্বশেষ অভিযোগটির দীর্ঘ পর্ষালোচনা শেষে যাচাই বাচাই কমিটির নিকট প্রতিয়মান হয় যে, নির্ষাতিতা গৃহবধুর নিকট মোহনা এনজিওর দাবীকৃত টাকা সঠিক নয়। এজন্য ন্যায় বিচারের লক্ষে সন্ধ্যা মালিকে আইনগত সহযোগীতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ শাখার আইনজীবিগন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here