ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা উলঙ্গ অবস্থায় স্থানীয়দের কাছে ধরা (ভিডিও)

Reporter Name

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বেচ্ছসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীর সাথে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েছে স্থানীয়দের কাছে। এ সময় তাকে উলঙ্গ অবস্থায় আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার আলাইপুর গ্রামের দাসপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় তাকে আটক দেখিয়েছে পুলিশ।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মকসেদ আলীর ছেলে ও ১নং সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি।

স্থানীয়রা জানায়, এর আগেও আলাইপুর গ্রামের আলুকদিয়াপাড়ার মিজানুর দাসপাড়ায় এসে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর নির্যাতন করেছে। রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গ্রামের অমরেশ দাসের বাড়িতে যায় মিজানুর। এ সময় অমরেশ ও তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে শুয়ে ছিলেন। এ সময় ঘরের দরজা খোলা ছিল। হঠাৎ মিজানুর ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রীর শরীরে থাকা লেপ সরিয়ে নেয়। এসময় টের পেয়ে অমরেশ মিজানুর রহমানকে উলঙ্গ অবস্থায় ধরে ফেলে। এ সময় মিজানুর তাকে মারধর করতে থাকে। অমরেশের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উলঙ্গ অবস্থায় ধরে ফেলে। এ সময় তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশকে খবর দিলে মিজানুর রহমানকে থানায় নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তিনি ও তার স্বামী সন্তানদের নিয়ে একটি কক্ষে শুয়ে ছিলেন। হঠাৎ মিজানুর রহমান তার শরীরের উপর থাকা লেপ সরিয়ে নেয়। এসময় তিনি তার স্বামীকে হাত দিয়ে ডাকেন। এ সময় মিজানুর উলঙ্গ অবস্থায় ছিল। মিজানুর জোরপূর্বক তার সাথে অনৈতিক কাজ করতে চেয়েছিল। এ সময় সবাইকে চুপ করতে বলে মিজানুর। কথা বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ সময় তার স্বামী মিজানুর রহমানকে ধরে ফেলে।

ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী অমরেশ দাস বলেন, তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এর আগেও মিজানুর তাদের উপর নির্যাতন করেছে। মিজানুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোন্তাজ আলী জানান, রাতে এক হিন্দু পরিবারের বাড়িতে গিয়ে ধরা পড়ে মিজানুর। তিনি যাওয়ার আগেই পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, আটক মিজানুর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

ভিডিও…

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৬:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
১১৫ Time View

কালীগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা উলঙ্গ অবস্থায় স্থানীয়দের কাছে ধরা (ভিডিও)

Update Time : ০৬:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বেচ্ছসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীর সাথে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েছে স্থানীয়দের কাছে। এ সময় তাকে উলঙ্গ অবস্থায় আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার আলাইপুর গ্রামের দাসপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় তাকে আটক দেখিয়েছে পুলিশ।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মকসেদ আলীর ছেলে ও ১নং সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি।

স্থানীয়রা জানায়, এর আগেও আলাইপুর গ্রামের আলুকদিয়াপাড়ার মিজানুর দাসপাড়ায় এসে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর নির্যাতন করেছে। রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গ্রামের অমরেশ দাসের বাড়িতে যায় মিজানুর। এ সময় অমরেশ ও তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে শুয়ে ছিলেন। এ সময় ঘরের দরজা খোলা ছিল। হঠাৎ মিজানুর ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রীর শরীরে থাকা লেপ সরিয়ে নেয়। এসময় টের পেয়ে অমরেশ মিজানুর রহমানকে উলঙ্গ অবস্থায় ধরে ফেলে। এ সময় মিজানুর তাকে মারধর করতে থাকে। অমরেশের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উলঙ্গ অবস্থায় ধরে ফেলে। এ সময় তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশকে খবর দিলে মিজানুর রহমানকে থানায় নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তিনি ও তার স্বামী সন্তানদের নিয়ে একটি কক্ষে শুয়ে ছিলেন। হঠাৎ মিজানুর রহমান তার শরীরের উপর থাকা লেপ সরিয়ে নেয়। এসময় তিনি তার স্বামীকে হাত দিয়ে ডাকেন। এ সময় মিজানুর উলঙ্গ অবস্থায় ছিল। মিজানুর জোরপূর্বক তার সাথে অনৈতিক কাজ করতে চেয়েছিল। এ সময় সবাইকে চুপ করতে বলে মিজানুর। কথা বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ সময় তার স্বামী মিজানুর রহমানকে ধরে ফেলে।

ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী অমরেশ দাস বলেন, তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এর আগেও মিজানুর তাদের উপর নির্যাতন করেছে। মিজানুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোন্তাজ আলী জানান, রাতে এক হিন্দু পরিবারের বাড়িতে গিয়ে ধরা পড়ে মিজানুর। তিনি যাওয়ার আগেই পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, আটক মিজানুর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

ভিডিও…