কালীগঞ্জে স্বেচ্ছায় লকডাউন: সড়ক থেকে বাঁশ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ
ঝিনাইদহঃ
দেশে করোনা মহামারিতে সাধারন মানুষ এখন বেসামাল। নিজেদের আত্নরক্ষায় পথ খুঁজতে গিয়ে তারা অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়ছে। করোনা ঠেকাতে সম্প্রতি কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই কিছু অতি উৎসাহী জনতা রাস্তায় বাশঁ, গাছের গুড়ি ও ব্যানার ফেষ্টুন ঝুলিয়ে এলাকা লকডাউন ঘোষনা করেছে। এতে নানান সমস্যায় এলাকায় মানুষের মাঝে দেখা দেয় নানান মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিষয়টি নজরে আসায় তার সমাধানে এগিয়ে এসেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা।
শনিবার তিনি ঘোষনা দিয়েছেন প্রশাসন ব্যাতিত শহর বা গ্রাম মহল্লাতে চলাচলের সড়ক বন্ধ করা যাবে না। এতে জরুরী মুহুর্ত্বে সেবা প্রদানকারী যানবাহন প্রবেশে সমস্যা হতে পারে। এজন্য তিনি স্ব স্ব এলাকার জনগনকে রাস্তাতে দেওয়া বাশ খুটি তুলে নিতে নির্দ্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা গেছে রাস্তা বন্ধ করে গ্রাম, পাড়া, মহল্লার মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকান গুলিতে জমজমাট আড্ডা চলছিল। এতে করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের অভিযান চালাতেও গিয়েও বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল।
রাস্তা বন্ধ করাতে বিভিন্ন সমস্যায় ভুক্তভোগী কালীগঞ্জ পৌরসভার হেলাই গ্রামের মাসুদ রানা জানান, কয়েকদিন আগে তার অন্তঃসত্তা মেয়েটিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য আনতে গিয়েছিলেন ইশ্বরবা গ্রামে। সেখানে ওই গ্রামের কিছু অতি উৎসায়ী লোক রাস্তায় বাঁশ ও গাছের গুড়ি ফেলে যাতাযাত বন্ধ করে রেখেছিল। রাস্তা খুলে না দেওয়াতে তিনি তার অন্তঃসত্তা মেয়েকে নিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার ভাঙ্গাচোরা রাস্তা ঘুরে আসতে বাধ্য হন।
রাস্তায় বাশ বেঁধে লকডাউন করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা জানান, প্রশাসন ব্যতিত অন্য কেউ রাস্তা বন্ধ করতে পারবেন না। এটা ফৌজদারি ও গণ উপদ্রব হিসাবে শাস্তিযোগ্য। তবে এলাকাবাসীর প্রয়োজনে আইনশৃংখলা বাহিনী বা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ দিয়ে রাস্তাতে চেকপোস্ট বসাতে পারেন। এতে মানুষের অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
তিনি আরো জানান, রাস্তা বন্ধ রাখলে বিপদগ্রস্থ মানুষের জরুরি সেবা ব্যহত হতে পারে। তাই রাস্তা বন্ধ না করে নিজেরাই ঘরে থাকুন। এবং এখনো যেখানে রাস্তা বন্ধ করা আছে সেগুলি আইনশৃংখলা বাহিনী বা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিগন দ্রুত অপসারনের ব্যাবস্থা করবেন বলেও জানান তিনি।